আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসময় সার্কাস ছিল বিনোদনের বড় মাধ্যম। শীতকাল পড়লেই বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেতে সার্কাসের তাবু৷ আর সেখানে ভিড় জমাত আট থেকে আশি, সকল বয়সের মানুষজন৷ কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে অস্তিত্ব সংকটে সার্কাসের৷ এখন আর সেভাবে দেখা যায় না অত বেশি সার্কাসের তাবু৷ তবুও অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সার্কাস শিল্প৷
বারুইপুরে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা। বারুইপুরের জমিদার মদন মাল্য আজ থেকে প্রায় ২৭০ বছর আগে ইংরেজ শাসনের গোড়ায় রায়চৌধুরী উপাধি লাভ করেন। অবিভক্ত বাংলার বারো ভূঞার মধ্যে অন্যতম হিসাবে জমিদারির পত্তন হয়। বর্তমান দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ থেকে সূদূর সাগর-সহ সুন্দরবনের জমিদারির অধিকার লাভ করেন মদন রায়চৌধুরী।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ৷ এরপরই সব পার্বণ চালু হয় জমিদার বাড়িতে। দুর্গা, কালী, বিপত্তারিণী পুজোর পাশাপাশি রথ ও রাস উৎসব চালু হয় দেউড়ির মাঠে। সেই মেলায় জায়গা পায় বাদাম, খেলনা, মাটির জিনিস, গাছ-সহ হরেক জিনিসের দোকান। বিশেষ করে জিলিপি ও গজার দোকান। মেলায় বারুইপুর-সহ আশপাশের কানিং, জয়নগর, কুলতলি, মগরাহাট, বিষ্ণুপুর ও সোনারপুর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসতেন।
বর্তমানে পশু-পাখি ছাড়া সার্কাস হলেও দর্শকের উচ্ছ্বাসে কোনও কমতি নেই। সার্কাস মানেই রোমাঞ্চ, হাসি এবং দক্ষতার অসাধারণ প্রদর্শনী। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্পীরা দুঃসাহসিক কলাকৌশল, রশি দিয়ে হাঁটা, ব্যায়াম, মূকাভিনয় ও ভাঁড়ের হাস্যরসাত্মক পরিবেশনা করে দর্শকদের মুগ্ধ করে তুলছেন।
এই সার্কাসের এক কলাকুশলী অনিমেষ খাটুয়া বলেন, 'আমাদের সার্কাস ছাড়া জীবিকা অর্জনের আর কোনও উপায় নেই। এই সার্কাসের মাধ্যমেই আমাদের পরিবার চলে। উচ্চতার কারণে কোনওরকম কাজ করতে পারি না। এই সার্কাসের মধ্যে দিয়ে জীবিকা অর্জন করি। অনেক সার্কাস বন্ধ হয়ে গেলেও এখনও বেঁচে রয়েছে এই রাজধানী সার্কাস।'
এই সার্কাসের সঙ্গে যুক্ত রাশিয়ান শিল্পী দম্পতি জানায়, '৩২ বছর ধরে সার্কাসের সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়েছি। এই প্রথম ভারতবর্ষে এলাম এবং এই প্রথম কলকাতায় এলাম। এসে আমাদের খুবই ভাল লাগছে। আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা যে সকল মনোরঞ্জনকর খেলা প্রদর্শন করছি, সেই খেলা দর্শকদের খুবই ভাল লাগছে।'
সার্কাসের ম্যানেজার নূর ইসলাম মণ্ডল জানান, 'এই বছর দর্শকদের জন্য রয়েছে একাধিক নতুন খেলা ও আকর্ষণ। প্রতিদিন তিনটি শো অনুষ্ঠিত হবে।'
