টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমা গরম খবর কী?


'দে দে পেয়ার দে ২'-এর ইতিবাচক সাড়া 


অজয় দেবগণ, রকুল প্রীত সিং ও আর. মাধবন অভিনীত ছবি 'দে দে পেয়ার দে ২' প্রথম দিনের আয়ে পোস্ট-প্যান্ডেমিক যুগের সর্বোচ্চ ওপেনিং রোমান্টিক কমেডি ছবির তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি প্রথম দিনে আনুমানিক ৮.৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যা বর্তমান সময়ে রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ছবির একটি সম্মানজনক সূচনা।‌ তবে, সামগ্রিক 'রোমান্স' ঘরানার সর্বোচ্চ ওপেনিং ছবির তালিকায় এখনও শীর্ষে আছে 'সাইয়ারা'। এই তালিকার মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে রণবীর কাপুর ও শ্রদ্ধা কাপুরের ছবি 'তু ঝুঠি ম্যায় মক্কর'। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে 'সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী' এবং তৃতীয় স্থানে আছে 'ব্যাড নিউজ'। বক্স অফিসে রম-কম ছবির দাপট বর্তমানে কিছুটা কম। বহু ছবি এখন আর সহজে প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারছে না, ফলে এই ঘরানার বাণিজ্যিক দিকটি কিছুটা কঠিন হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে 'দে দে পেয়ার দে ২'-এর ৮ কোটির বেশি আয় হওয়াটা বেশ ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


শাহরুখের নামে টাওয়ার 

 

বলিউড ‘কিং’ শাহরুখ খানের নামে দুবাইয়ের একটি আকাশচুম্বী টাওয়ার উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ খান নিজেই। অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেতা শাহরুখ খান। তিনি বলেন, "আজ আমার মা বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন।" এরপর স্বভাবসুলভ রসিকতায় তিনি বলেন, "ঈদের চাঁদের মতো আমি বাইরে কম আসি। কিন্তু যখন আসি, তখন বড় কিছু ঘটে।" উদ্বোধনের পর শাহরুখ খানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "আমি কী বলব? এটা সত্যিই একটি বড় সম্মান। যখন আমি আমার সন্তানদের দুবাই নিয়ে যাব, তখন বলব এটা দেখ, বাবার বিল্ডিং। যদিও বিল্ডিংটি রিজওয়ান ভাইয়ের। কিন্তু নাম তো আমারই লেখা আছে।"

 

ঘুম উড়েছে তেজস্বীর 


জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী তেজস্বী প্রকাশ সম্প্রতি কমেডিয়ান ভারতী সিং এবং হর্ষ লিম্বাচিয়ার পডকাস্ট শো-তে এসে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর রাতের ঘুম উধাও হয়ে গেছে এবং একটানা বহু রাত তিনি এক মিনিটও ঘুমাতে পারেননি। তেজস্বী বলেন, "আমি শুয়ে থাকি, মোবাইল বা টিভি দেখি না। আমি শুধু শুয়ে শুয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাখা বা সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি।" তিনি আরও জানান যে এই অভিজ্ঞতাটি তাঁর জন্য খুবই বিরক্তিকর এবং হতাশাজনক। মাঝে মাঝে তিনি দেখেন, ভোরের আলো পর্দা ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করছে, কিন্তু তাঁর একটুও ঘুম আসেনি। এই সমস্যা গত প্রায় এক বছর ধরে চলছে বলে জানান অভিনেত্রী। প্রথমদিকে ঘুম না আসার কারণে তিনি সারাদিন খুবই বিরক্ত এবং খিটখিটে মেজাজে থাকতেন। তাঁর কথায়, "আমি এত ক্লান্ত থাকতাম যে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়া উচিত, কিন্তু তা হত না, আমি জেগে থাকতাম। এতে আমার পরের দিনটা নষ্ট হয়ে যেত।" তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তেজস্বী এই পরিস্থিতি মেনে নিয়েছেন।