দৈনন্দিন জীবনের অজস্র ব্যস্ততার মাঝে আমরা অনেক অভ্যাস তৈরি করি, যেগুলোকে তেমন গুরুত্ব দিই না। কিন্তু অজান্তে সেইসব অভ্যাসই শরীর-মনের বড় ক্ষতি করতে পারে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
2
8
পাঁচটি ছোট অভ্যাস নীরবে আপনার চারপাশে নেতিবাচক শক্তি বাড়িয়ে তোলে। রোজকার জীবনে বারবার ক্লান্তি, মুড-সুইং, উদ্বেগ বা মানসিক চাপের পেছনে অনেক সময় এই অভ্যাসগুলোই দায়ী হতে পারে।
3
8
সবচেয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে এমন মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো, যারা সবসময়ই অভিযোগ করেন, নেগেটিভ কথা বলেন বা অন্যকে নিচু দেখানোর চেষ্টা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরা ‘এনার্জি ভ্যাম্পায়ার’-যাদের সঙ্গে থাকলে আপনার মনের এনার্জি কমতে থাকে, মন খারাপ বাড়ে এবং আত্মবিশ্বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক শান্তি বজায় রাখতে এমন সম্পর্ক থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই শ্রেয়।
4
8
নিজেকে দোষারোপ করা, ‘আমি পারব না’, ‘আমি যথেষ্ট ভাল নই’-নিজের সঙ্গে এই ধরনের কথা বলা আসলে নীরবে আপনাকে ভীষণ ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, নিজের প্রতি এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে হতাশা, দুশ্চিন্তা ও কর্মক্ষমতার ঘাটতি তৈরি করে। নিজেকে ছোট না করে বরং প্রেরণাদায়ক কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
5
8
অনেকেই সকালে তাড়াহুড়োয় বিছানা গুছিয়ে ওঠেন না। কিন্তু গবেষণা বলছে, অগোছালো বিছানা ও ঘর আমাদের মনের ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এতে অস্বস্তি, অস্থিরতা এবং দিনের কাজে অন্যমনস্কতা বাড়ে। মনোবিদদের মতে, দিন শুরু করার আগে মাত্র দুই মিনিট সময় নিয়ে বিছানা গুছিয়ে ফেললে মানসিকভাবে অনেক বেশি চাঙ্গা থাকা যায় এবং নেগেটিভ এনার্জি দূরে থাকে।
6
8
অ্যালকোহলকে অনেকেই স্ট্রেস কমানোর উপায় মনে করেন, কিন্তু বাস্তবে এটি মুড-সুইং, উত্তেজনা, খিটখিটে ভাব এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল মানসিক অবসাদ ও নেতিবাচক আচরণকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই সীমিত পরিমাণে পান করা বা একেবারে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
7
8
গবেষণা বলছে, প্রাণীদের প্রতি অসহিষ্ণুতা বা খারাপ ব্যবহার মানুষের মধ্যে নেতিবাচকতা বাড়ায়। এমন আচরণ মানসিক অস্থিরতা, রাগ এবং অজান্তে আক্রমণাত্মক মনোভাবকে বাড়িয়ে তোলে।
8
8
বিশেষজ্ঞের মতে, এই ছোট ছোট অভ্যাস বদলাতে পারলে আপনার চারপাশের পজিটিভ এনার্জি বাড়বে।