আজকাল ওয়েবডেস্কঃ চিকিৎসকেদের মতে, প্রত্যেক লিভারেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চর্বি থাকে। সেই চর্বি মাত্রাতিরিক্ত জমে গেলে, তখন তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাটি লিভারের অসুখ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষের ধারণা, মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র এই অসুখ হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়।
2
7
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। আর এই রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে লিভার সিরোসিসের মতো মারণ ব্যাধি। একথা ঠিক যে লিভারের ক্ষতি এড়াতে চাইলে মদ্যপান না করাই শ্রেয়। সঙ্গে রোজকার অনেক চেনা খাবারও লিভারের বারোটা বাজাতে পারে।
3
7
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারঃ মাফিন, কেক, পেস্ট্রি, কুকিজের মতো খাবার লিভারের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এই ধরনের খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। যা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ে, লিভারের ক্ষতি হয়, ঝুঁকি থাকে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ারও।
4
7
বেশি নুনযুক্ত খাবারঃ চিনির মতো অতিরিক্ত নুনযুক্ত খাবারও লিভারের জন্য ক্ষতিকর। অত্যধিক লবণ খাওয়া নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, হজম ক্ষমতাও নষ্ট হয়। তাই ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার, চপ, কাটলেট যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
5
7
জাঙ্কফুডঃ প্যাটিস, রোল, বার্গার, হটডগ, চিপস ইত্যাদির মতো জাঙ্ক ফুডে প্রিজারভেটিভ ও ফুড কালার ব্যবহার করা হয়, যা শুধু লিভার নয়, সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া এই ধরনের প্যাকেটজাত খাবারে ময়দা ব্যবহার করা হয়। লিভার সুস্থ রাখতে ময়দা এড়িয়ে চলতে হবে।
6
7
অতিরিক্ত সোডাযুক্ত পানীয়ঃ মদ্যপান না করলেও অনেকেরই অতিরিক্ত সোডাযুক্ত পানীয়, নরম পানীয় খাওয়ার অভ্যাস থাকে। আর এই অভ্যাসও লিভারের জন্য ক্ষতিকর। লিভারকে সুস্থ রাখতে যে কোনও ধরনের নরম পানীয় এড়িয়ে চলুন।
7
7
বাজারচলতি ফলের রসঃ অনেকেই স্বাস্থ্যকর মনে করে দিব্যি ফ্রুট জুস খেয়ে থাকেন। বাজারচলতি ফলের রসে সুগার যেমন বেশি থাকে, তেমনই কম থাকে ফাইবার। ফলের রসে প্রাকৃতিক ফাইবার বেরিয়ে যায়, শুধু চিনি বিশেষ করে ফ্রুক্টোজ পড়ে থাকে। তাই এই ধরনের জুস খাওয়া অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার মতোই ক্ষতিকর।