প্রতিবাদ, বিক্ষোভে উত্তাল নেপালে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। মূলত ছাত্র যুবদের বিক্ষোভের মাঝে পড়ে, যখন তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাই একে একে দূরত্ব বাড়িয়ে পদত্যাগ করেন, তখনই দেশত্যাগের জল্পনা বাড়িয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
2
8
এই মুহূর্তে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কেপি শর্মা ওলি। একজনরে ওলির কথা- ওলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) এর সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা ছিল তাঁর থার্ড টার্ম অর্থাৎ তৃতীয় মেয়াদ। ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই তিনি তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন। ১১ অক্টোবর ২০১৫ থেকে ২৪ জুলাই ২০১৬ এবং ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ থেকে ১৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন।
3
8
ওলির জীবনের প্রথমদিকের তথ্য- ১৯৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী পূর্ব নেপালের তেরহাথুম জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন। অল্প বয়সেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিএন) যোগদান করেন। টানা ১৪ বছর কারাগারে কাটাতে হয়, যার মধ্যে ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত চার বছর নির্জন কারাবাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানা যায়।
4
8
মুক্তির পর, ওলি তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (এম-এল) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত লুম্বিনি জোনের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দলের যুব শাখা ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল ইয়ুথ ফেডারেশন (DNYF) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
5
8
নেপালে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পরপরই ১৯৯১ সালে, শুরু হয় সংসদীয় জীবন। ১৯৯৩ সালে, তিনি সিপিএন (ইউএমএল)-এর কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগের প্রধান হন। ১৯৯৪ সালে, তিনি পলিটব্যুরোতে নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত হন। একই বছর, তিনি প্রতিনিধি পরিষদে পুনঃনির্বাচিত হন এবং নেপালেরনির্বাচিত কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
6
8
১৯৯৯ সালে টানা তৃতীয় মেয়াদে ওলি পুনর্নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সিপিএন (ইউএমএল) এর সংসদীয় বিষয়ক বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের উপনেতা ছিলেন।
7
8
২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের মার্চ পর্যন্ত, ওলি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে, তিনি গণপরিষদে (সিএ) নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে সিএ এবং আইনসভা-সংসদে দলের নেতা নির্বাচিত হন।
8
8
তিনবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন। তবু প্রবল বিক্ষোভের মাঝে ওলির হাত ছেড়েছেন তাঁর ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরাই। তাঁদের দাবি, সরকার জনগণের কথা শোনে না।