১৯৫৭ থেকে ২০০৯ - এই পাঁচ দশকে বলিউডের পর্দায় এসেছে অসংখ্য ছবি। কিন্তু এমন চারটি সিনেমা আছে, যেগুলি কেবল বক্স অফিসে রাজত্বই করেনি, ভারতীয় সিনেমার গল্প বলার ধরণকেও পাল্টে দিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে প্রজন্ম, প্রযুক্তি, রুচি। কিন্তু এই চার ছবি আজও অবিস্মরণীয়।
2
8
প্রথমেই আসে মেহবুব খানের কিংবদন্তি সৃষ্টি ‘মাদার ইন্ডিয়া’(১৯৫৭)। নরগিস, সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার এবং রাজ কুমারের অভিনয়ে গড়া এই মহাকাব্যিক ছবিটি ছিল ১৯৪০ সালের ‘ঔরত’ ছবির রিমেক।
3
8
কিন্তু এখানে ‘রাধা’ চরিত্রে নরগিসের মাতৃত্ব, সংগ্রাম, আর সমাজের অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই ভারতীয় সিনেমাকে নতুন এক মর্যাদা দেয়। দারিদ্র্য, নৈতিকতা, আর মাতৃত্বের প্রতীকে মাদার ইন্ডিয়া হয়ে ওঠে এক শাশ্বত উপাখ্যান।
4
8
এর পরের ধাক্কা আসে ১৯৭৫ সালে। রমেশ সিপ্পির শোলে। অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর ‘জয়-বীরু’ জুটি, গব্বর সিংয়ের ‘কিতনে আদমি থে!’ সংলাপ, আর সলিম-জাভেদের লেখা অমর চিত্রনাট্য।
5
8
এই সিনেমা ভারতীয় পপ সংস্কৃতির অভিধানই বদলে দেয়। একদিকে অ্যাকশন, অন্যদিকে আবেগ ও বন্ধুত্ব, শোলে হয়ে ওঠে বলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী সিনেমাগুলির একটি।
6
8
এরপর ২০০১ সালে আসে আশুতোষ গোয়ারিকরের লগান। ঔপনিবেশিক ভারতের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ঐতিহাসিক কাহিনি ইতিহাস, খেলা ও মানবিকতার মিশ্রণে গড়া এক অনন্য সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা।
7
8
আমির খান প্রযোজনা ও অভিনয়, দুই ভূমিকাতেই কৃতিত্ব দেখান। এক দল গ্রামবাসী, এক দমবন্ধ করা ক্রিকেট ম্যাচ, আর কর-মুক্তির প্রতিশ্রুতি লগান হয়ে ওঠে সাহস, আশা ও ঐক্যের প্রতীক। ছবিটি অস্কারে মনোনয়নও পায়, যা ভারতীয় সিনেমার গর্ব।
8
8
২০০৯-এ এল রাজকুমার হিরানির ‘থ্রি ইডিয়টস’। আমির খান, আর মাধবন, শরমন জোশি, কারিনা কাপুর, বোমন ইরানির অভিনয়ে এই সিনেমা শিক্ষাব্যবস্থার চাপ, স্বপ্ন, আর বন্ধুত্বের গল্পকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। মুক্তির পর মুহূর্তেই এটি ভেঙে দেয় সব বক্স অফিস রেকর্ড।