৭৪ বছরের ফরাসি শল্যচিকিৎসক জোয়েল লে স্কাউরনেক। গত কয়েকমাস ধরে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে তোলপাড় ফ্রান্স। প্রায় ৩০০ ধর্ষণের অভিযোগে সোমবারেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, বুধবার জোয়েলকে ২০ বছরের কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
2
9
এই মামলার সূচনা ২০১৭সালে। চিকিৎসকের এক আত্মীয় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনে যৌন নিপীড়নের। মূলত শিশু, নাবালিকা রোগীদের ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা করত সে। তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছিল।
3
9
৩০০ নির্যাতিতার মধ্যে ২৫৬ জনের বয়স ছিল ১৫ বছরের নীচে। গড়ে তাদের বয়স ছিল ১১ বছর। নির্যাতিতাদের মধ্যে একবছরের শিশুও রয়েছে।
4
9
১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলো সে ঘটিয়েছে।
5
9
নির্যাতিতাদের মধ্যে তার দুই খুদে আত্মীয়ও রয়েছে। এই ঘটনায় ২০২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা কর হয়েছিল সে সময়। ২০১৭ সালে এক প্রতিবেশী নাবালিকা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে।
6
9
অনেকেই জানিয়েছিলেন, নিপীড়নের সময়ের কোনও স্মৃতি নেই তাঁদের, তাঁরা তখন অচেতন অবস্থায় ছিলেন। লালসার শিকার হয়েছিল ছেলেরাও।
7
9
চিকিৎসকের ঘর থেকে তিন লক্ষ অশ্লীল ছবি, প্রচুর সেক্স টয়, শিশুদের সঙ্গে সঙ্গমের ছবি উদ্ধার করে পুলিশ। একটি ডায়েরিতে নির্যাতিতাদের নাম লিখে রেখেছিল সে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, একাধিক নাবালিকাকে অপারেশন টেবিলেও যৌন হেনস্থা করেছিল সে।
8
9
বারবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরেও ভিন্ন শহরে গিয়ে হাসপাতালে কাজে যোগ দিত সে। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন স্ত্রীও।
9
9
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে ওই চিকিৎসক আদালতে জানিয়েছে, সে ‘জঘন্য কার্যাবলীর’ জন্য অনুতপ্ত। বলেছে, ‘সেসব দিনে আর ফিরে যাওয়া যাবে না। জঘন্য কাজের জন্য যে বিরাট ক্ষতি হয়েছে শিশুদের, তা পূরণ হবে না কোনও দিন।‘ নিজের কাজের সমস্ত দায় নিতেও রাজি হয়েছিল চিকিৎসক। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, সাজা মিলেছে ২০ বছরের কারাদণ্ডের।