সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম দুধ চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া অনেকের অভ্যাস। কিন্তু নিয়মিত খালি পেটে দুধ চা খাওয়া শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে গ্যাস, অম্বল, জলশূন্যতা থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টিবিদরা তাই সতর্ক করছেন, চা কখন ও কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, সেটিই আসল বিষয়।
2
6
খালি পেটে চা শরীরের পানিশূন্যতা বাড়ায়, কারণ চায়ে থাকা ক্যাফেইন ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে। ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এ ছাড়া খালি পেটে দুধ চা পাকস্থলীর অ্যাসিড ক্ষরণ বাড়িয়ে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা তৈরি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি পেপটিক আলসারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
3
6
দুধ চা সাধারণত বেশি মিষ্টি করে খাওয়া হয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। নিয়মিত চিনি দেওয়া চা ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে মিষ্টি চা খেলে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই চিনির বদলে প্রাকৃতিক বিকল্প ব্যবহার করাই উত্তম।
4
6
চা বানানোর সময় ফুল ফ্যাট দুধের বদলে টোনড বা স্কিমড মিল্ক ব্যবহার করা ভালো। এতে ক্যালরির পরিমাণ কমে, অথচ প্রোটিন বজায় থাকে। আমন্ড, ওটস বা সয়া মিল্ক দিয়েও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর চা বানানো যায়। এতে দুধ চায়ের স্বাদ অটুট থাকে, কিন্তু চর্বি ও কোলেস্টেরল কম থাকে।
5
6
চায়ে আদা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গের মতো মশলা মিশিয়ে খেলে তা শুধু স্বাদই বাড়ায় না, বরং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও যোগ করে। এই উপাদানগুলো শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হজমে সহায়তা করে। ভালো ফলের জন্য মশলাগুলি আগে জলে ফুটিয়ে নিতে হয়, তারপর চা পাতা ও দুধ যোগ করতে হয়।
6
6
চা স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানালেও অতিরিক্ত খাওয়া চলবে না। সকালে এক কাপ ছোট পরিমাণে চা যথেষ্ট। ইনস্ট্যান্ট বা ডিপ চা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে ট্রান্সফ্যাট ও কৃত্রিম উপাদান থাকতে পারে। অল্প অল্প করে ধীরে চুমুক দিয়ে চা উপভোগ করলেই স্বাস্থ্য ও স্বাদ—দুটোই বজায় থাকবে।