সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অভিনয়ের থেকে বেশি বিতর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনামে থেকেছেন আদিত্য পাঞ্চোলি।  একাধিকবার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর বিবাহ-বহিৰ্ভূত নানান সম্পর্ক। বিবাহিত থাকাকালীন কখনও জড়িয়েছেন কবীর বেদীর কন্যা অভিনেত্রী পূজা বেদীর সঙ্গে, কখনও বা কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে আদিত্যর স্ত্রী অভিনেত্রী জরিনা ওয়াহাব এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর এইসব কাণ্ডের বিষয়ে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন। এবং আদিত্য যে পরকীয়ার জড়াতে পারেন সেই বিষয়ে আগে থেকেই ধারণা ছিল তাঁর! শুধু তাই নয়, সেইভাবে নিজেকে প্রস্তুতও রেখেছিলেন তিনি। 

 

১৯৮৬ সালে চারহাত এক করেন জরিনা এবং আদিত্য। এরপর ১৯৯৩ সালে পূজা বেদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আদিত্য। পূজা ও আদিত্য-দু'জনেই এই সম্পর্ক নিয়ে খুল্লম খুল্লা ছিলেন। পরে যদিও আদিত্যর বিরুদ্ধে ক্রমাগত শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠিয়েছিলেন পূজা। এবং পুলিশি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। এরপর ২০০৪ সালে কঙ্গনার সঙ্গে ফের বিবাহ-বহিৰ্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন 'ইয়েস বস' ছবির এই অভিনেতা। সেই সম্পর্কের তিক্ততা গড়িয়েছিল বহুদূর। কঙ্গনাও প্রকাশ্যে আদিত্য বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। পাশাপাশি সর্বসমক্ষে একাধিকবার ঝামেলাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এর দীর্ঘ বছর পর ২০১৯ সালে আদিত্যর বিরুদ্ধে হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতনের পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন 'কুইন' ছবির নায়িকা। 

 

সাক্ষাৎকারে জরিনা বলেন, আদিত্য খুবই নম্র স্বভাবের মানুষ। ভীষণ মিষ্টি। বাড়িতে কোনওদিন তেমনভাবে ঝামেলা করেননি তিনি, গায়ে হাত তোলা তো দূরের কথা। ওঁর সেই প্রেমিকারা ওঁর থেকে হয়তো চাহিদামতো নিশ্চয়ই কিছু পাননি তাই এমন অভিযোগ করেছিলেন!" এখানেই না থেমে জরিনা বলে চলেন, "  নির্মল (আদিত্য পাঞ্চোলির পিতৃদত্ত নাম)-এর বিবাহ-বহিৰ্ভূত সব সম্পর্কগুলো সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম। সেসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতাম না আমি। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ও আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছে। আর ওকে আমি ওর সেইসব সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রশ্নও করতাম না। কারণ সেসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেই ওর সব ভয়-লজ্জা কেটে যেত। তাই ও যা করছিল,সে ব্যাপারে আমি আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলাম।"