বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর কর্মজীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি প্রকাশ করেছেন যে বলিউডের 'হি-ম্যান' ওরফে প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে পাওয়া একটি 'জীবন-পরিবর্তনকারী' উপদেশ কীভাবে তাঁর জীবনের গতিপথ বদলে দিয়েছে।
এই মূল্যবান পরামর্শটি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর প্রথম ছবি 'সিং সাব দ্য গ্রেট'-এর সেটে, যা ২০১৩ সালে মুক্তি পায়। উর্বশী জানান, ওই ছবিতে তিনি যখন কাজ শুরু করেন, তখন ইন্ডাস্ট্রির নিয়মকানুন এবং তারকাদের সঙ্গে মেশার বিষয়ে তাঁর তেমন কোনও ধারণা ছিল না। এই সময়ই শুটিং সেটে তিনি ধর্মেন্দ্রকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। ছবিটি ছিল সানি দেওলের সঙ্গে, কিন্তু একটি গানের শুটিং চলাকালীন সেটে উপস্থিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র, সানি দেওল এবং ববি দেওল—তিনজনেই।
একটি সাক্ষাৎকারে উর্বশী সেই মুহূর্তটির কথা সবিস্তারে বলেন। ছবির 'দারু ব্যান্ড কাল সে' গানটির শুটিং চলছিল, তখন ধর্মেন্দ্রজি তাঁকে ডেকে পাশে বসতে বলেন। অভিনেত্রী সবসময়ই ধর্মেন্দ্রকে একজন মহান শিল্পী ও মাটির মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করে এসেছেন, তিনি সেদিন খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে ধর্মেন্দ্রজি তাঁকে যে মূলমন্ত্রটি দেন তা হল "উর্বশী বেটা, এই যে অহংকার নামক জিনিসটি আছে, এটাকে তুমি সব সময় তোমার পায়ের নিচে রাখবে এবং পিষে দেবে। তবেই সাফল্য পাবে।"
ধর্মেন্দ্রর মতে, শিল্প জগতে টিকে থাকতে হলে এবং দর্শক-সহকর্মীদের মনে জায়গা করে নিতে হলে বিনয়ী হওয়া অপরিহার্য। অহংকার একজন শিল্পীর প্রতিভা ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘ সফল কেরিয়ারের অধিকারী ধর্মেন্দ্র তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এই শিক্ষাটি উর্বশীকে দিয়েছিলেন, যা মুহূর্তের মধ্যে তাঁর কাছে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশে পরিণত হয়।
সাক্ষাৎকারে উর্বশী রাউতেলা অকপটে স্বীকার করেছেন যে, এই একটি উপদেশ তাঁর কেবল পেশাগত জীবন নয়, ব্যক্তিগত জীবনকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। সেই দিন থেকে তিনি তাঁর কাজকর্মে এবং মানুষের সঙ্গে মেলামেশায় সব ধরনের অহংকার দূরে সরিয়ে রাখতে শিখেছেন।
এই উপদেশটিই তাঁকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির চ্যালেঞ্জিং পথে সব সময় নম্র, সরল এবং মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করেছে। উর্বশী আরও জানান, ধর্মেন্দ্রর মতো একজন কিংবদন্তির কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে এমন পরামর্শ পাওয়া তাঁর জন্য ছিল বিশাল এক আশীর্বাদ। এই উপদেশকে অভিনেত্রী নিজের জীবনের একটি অমূল্য সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করেন।
