বর্তমানে টানটান উত্তেজনা ঘেরা পর্ব চলছে জি বাংলার ধারাবাহিক 'চিরদিনই তুমি যে আমার'-এ। গত সপ্তাহে টিআরপিতে প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এই মেগা। গল্পে কয়েকদিন আগেই আর্য-অপর্ণা একে অপরকে মনের কথা জানিয়েছেন। মাঝে আবার ডাক্তার হিন্দোলের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে অপুর বাবা-মা। কিন্তু আর্য-অপর্ণার ভালবাসা দিতে যায়। অপর্ণার বাবা-মা শেষ পর্যন্ত মেনে নেয় তাদের সম্পর্ক।
এদিকে, এসব টানাপোড়েনের মাঝেই পূর্বজন্মের স্মৃতি ফিরে আসে অপর্ণার। দুর্গাপুজোর অষ্টমীতেই অপর্ণা হয়ে ওঠে রাজনন্দিনী! পুজোর অঞ্জলীতে সবাই যখন ব্যস্ত, তখন অপর্ণার মধ্যে রাজনন্দিনী জেগে ওঠে। তার চোখমুখ হঠাৎই বদলে যায়। অপু যেন একটা ঘোরে চলে যায়। তাকে দেখে অবাক হয়ে যায় তার বাবা-মাও। এদিকে আনমনে পুজো মণ্ডপের মধ্যে দিয়ে চলতে গিয়ে শাড়ির আঁচল গিয়ে পড়ে জ্বলন্ত প্রদীপের উপর। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। আর্য ছুটে গিয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে অপর্ণা ধাক্কা দিয়ে আর্যকে সরিয়ে দেয়। অপু বলে, আর্য সিংহ রায় তো তার আসল পরিচয় নয়! তাহলে আর্যর আসল পরিচয় কী? কোন অতীতের ইঙ্গিত দিল অপর্ণা?
এই প্রশ্নের উত্তর মেলার আগেই মেঘরাজ কিডন্যাপ করে অপুকে। আর্য তাকে বাঁচাতে এলে মেঘরাজ জানায়, আর্যর পরিচয়ে যে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সে আসলে শঙ্কর। এই কথা শুনে অপর্ণার মনে সন্দেহ বাসা বাঁধে। আর্যকে এই বিষয়ে যতবার সে জিজ্ঞেস করে, ততবার নানাভাবে এড়িয়ে যায় সে। অপর্ণা ঠিক করে সে মাধবপুরে যাবে, যেখানে আর্যর আসল পরিচয় সে খুঁজে পাবে।
আরও পড়ুন: টাকার অভাবে পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করে দিতে হচ্ছে রাজা-মধুবনীকে! হঠাৎ কী এমন হল তারকা দম্পতির সঙ্গে?
ভাবা মাত্রই সে বেরিয়ে পড়ে মাধবপুর যাবে বলে। ট্যাক্সি বুক করে সে রাতের অন্ধকারেই পাড়ি দেয় আর্যর আসল পরিচয় জানার জন্য। এদিকে, আর্য ছদ্মবেশে অপর্ণার ট্যাক্সিচালক হয়ে আসে। কোনওরকম বিপদে সে পড়তে দেবে না অপর্ণাকে, তাই এমনটা করে আর্য। এদিকে, রাস্তায় যেতে যেতে এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আর্য-অপু। তবে কি এটা আগে থেকেই কেউ পরিকল্পনা করে রেখেছিল? কেউ কি ইচ্ছাকৃতভাবে আর্য-অপর্ণার ক্ষতি চাইছে? নতুন প্রোমো দেখে এইসব প্রশ্ন ঘুরছে দর্শকের মনে। আগামীতে কী হয় এই ধারাবাহিকে, এখন সেটাই দেখার।
