আমিরের দুঃখ
প্রয়াত বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা অচ্যুত পোতদার। গত রবিবার (১৮ অগস্ট) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মুম্বইয়ের জুপিটার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। জানা গিয়েছে, সেদিন বিকেল চারটে নাগাদ গুরুতর শ্বাসকষ্ট ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউ-তে টানা কয়েক ঘণ্টা লড়াই চালিয়েও শেষমেশ মৃত্যুর কাছে হার মানেন প্রবীণ এই অভিনেতা। চিকিৎসক ড. রবীন্দ্র ঘাওয়াত সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “ওঁর রক্তচাপ অনেক বেশি ছিল, হৃদযন্ত্রের অবস্থা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। কার্ডিয়াক সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে।”

খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকস্তব্ধ বলিউড। ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ অচ্যুতের সহ-অভিনেতা আমির খান আবেগভরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। তাঁর প্রযোজনা সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে আমির বলেন,“অচ্যুতজির চলে যাওয়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি শুধু অসাধারণ অভিনেতা নন, ছিলেন একজন দারুণ মানুষ এবং অসাধারণ সহকর্মীও। আমরা সবাই ওঁকে খুব মিস করব। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল।”
— Aamir Khan Productions (@AKPPL_Official)Tweet by @AKPPL_Official
অভিনয়ের দুনিয়ায় অচ্যুত পোতদারের কৃতিত্ব কিন্তু অমলিন। বহু বলিউড ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের প্রিয় মুখ। সংযত অভিনয়, মাটির টান আর আত্মমগ্ন উপস্থিতি তাঁকে আলাদা করে তুলেছিল। তবে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পান ২০০৯ সালের রাজকুমার হিরানি পরিচালিত কাল্ট ক্লাসিক ‘থ্রি ইডিয়টস’-এ কঠোর অথচ স্নেহময় অধ্যাপকের ভূমিকায়। তাঁর ঠাসবুনো সংলাপ—
“কহনা কেয়া চানতে হো?” বলিউডের অন্যতম কালজয়ী সংলাপ হয়ে গেছে, যা আজও মিম, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট আর দর্শকের মুখে মুখে ফিরছে।
আফ্রিকায় প্রিয়াঙ্কা
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ‘বাহুবলী’ ও ‘আরআরআর’-এর পরিচালক এস এস রাজামৌলী এবার নিয়ে আসছেন আরও এক আন্তর্জাতিক মহাযজ্ঞ— তাঁর নতুন ছবি ‘গ্লোবট্রটর’ । বাজেট? চোখ কপালে তোলার মতো— ১০০০ কোটি টাকা!
সম্প্রতি, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া পৌঁছে গিয়েছেন নাইরোবি, কেনিয়াতে। শুরু হয়েছে ছবির শুটিং। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে নায়িকা ঝলক দেখালেন পূর্ব আফ্রিকার অপরূপ সৌন্দর্যের। এই মুহূর্তে ছবির টিমের শুটিং লোকেশন ছড়িয়ে রয়েছে কেনিয়া থেকে তানজানিয়া পর্যন্ত।

শুটিংয়ে খানিক দেরি হওয়ার পর অবশেষে সেপ্টেম্বরেই চালু হল ক্যামেরা। প্রথমে শোনা গিয়েছিল জুলাইতেই আফ্রিকায় শুটিং শুরু হবে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এবার প্রযোজক কে এল নারায়ণ নিশ্চিত করলেন— মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে ক্যামেরা রোল করবে।
গত ৯ অগাস্ট, মহেশ বাবুর জন্মদিনে ছবির প্রথম পোস্টার প্রকাশ করে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন রাজামৌলী। সেদিনই সামনে আসে এই ছবির আসল পরিসর। তবে পরিচালক জানিয়েছেন— নভেম্বর ২০২৫-এ মুক্তি পাবে ফার্স্ট লুক, আর সেটি হবে এমনভাবে পরিবেশিত, যা ভারতীয় দর্শকরা আগে কখনও দেখেননি। রাজামৌলীর ভাষায়—“ছোটখাটো আপডেটে এই ছবির ব্যাপ্তি বোঝানো সম্ভব নয়। আমাদের দুনিয়া এমন এক ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা, যা দর্শক আগে দেখেননি।”
এবার দক্ষিণে নোরা
বলিউডে নাচ আর গ্ল্যামারের ঝলক দেখিয়ে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন নোরা ফতেহি। ‘ওহ মামা! টেটেমা’ গানের সাফল্যে যখন চারদিকে তারই প্রশংসা, তখনই এক নতুন দিগন্তে পা বাড়াচ্ছেন তিনি। এবার দক্ষিণী সিনেমার দরজা খুলছে নোরার জন্য—তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অভিষেক হতে চলেছে বহুল জনপ্রিয় হরর-কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘কাঞ্চনা’-র চতুর্থ পর্বে।নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নোরা বলেন, “কাঞ্চনা ৪ যখন আমার হাতে আসে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যাই এটা সেই সঠিক প্রোজেক্ট, যেটার মাধ্যমে তামিল সিনেমায় প্রবেশ করতে চাই। ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের ছবিগুলো ইতিমধ্যেই এক অদম্য ঐতিহ্য তৈরি করেছে। চিত্রনাট্যও ছিল দারুণ আলাদা, তাই আমি এর অংশ হতে চেয়েছিলাম। ‘মাডগাঁও এক্সপ্রেস’-এর পর থেকে আবারও একটি কমেডিতে কাজ করতে চাইছিলাম।”

তবে ভাষার বাধা? নোরা অকপট— “ভাষা তো সবসময়ই একটা চ্যালেঞ্জ। হিন্দি, তেলুগু, মালয়ালম শিখতে হয়েছে এর আগে। কিন্তু এবার তামিল—এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন। আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিহার্সাল করি, উচ্চারণের জন্য আলাদা করে পরিশ্রম দিচ্ছি।”
এখন পর্যন্ত হিন্দি ফিল্মে ‘স্ট্রিট ডান্সার ৩ডি’, ‘বি হ্যাপি’ থেকে শুরু করে নানা গানে আগুন জ্বালিয়েছেন নোরা। এবার তাঁর নতুন ইনিংস—দক্ষিণী পর্দায় ভূতুড়ে হাসির ঝড় তুলতে চলেছেন তিনি।
