আউটসাইডার থেকে গ্লোবাল আইকন

বলিউডে তাঁর আজকের অবস্থান ঈর্ষণীয়। অথচ একসময় এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকাই ছিল ভীষণ কঠিন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের প্রথম দিককার দিনগুলির কথা খোলাখুলি শেয়ার করলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। জানালেন, কীভাবে আউটসাইডার হয়ে ইন্ডাস্ট্রির ‘ইনসাইডার দেয়াল’ ভেঙে এগিয়েছিলেন তিনি।

 

প্রিয়াঙ্কা বলেন, “২০০০ সালে আমি বিউটি পেজেন্ট জিতেছিলাম। সেখান থেকেই বিনোদন জগতে আমার যাত্রা শুরু হয়। ২০০২ সালে হিন্দি আর তামিল ছবিতে কাজ শুরু করি। কিন্তু তখন বলিউড ছিল বাইরের লোকদের জন্য প্রায় বন্ধ। আউটসাইডারদের ঢোকা ছিল খুবই কঠিন।”
অভিনেত্রীর কথায়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অভিনেতা–পরিচালক–প্রযোজকের দাপট চলত বলিউডে। নতুন প্রতিভাদের সুযোগ পাওয়া ছিল দুরূহ ব্যাপার। “ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকে কাস্টিং পাওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলাম। হাল ছাড়িনি। ব্যর্থতা মেনে নিতে পারতাম না। তাই লড়াই চালিয়ে গেছি।”আজ সেই লড়াই জিতেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাই তিনি নিজের সাফল্যকে ব্যবহার করছেন নতুন গল্পকার, লেখক, পরিচালক বা ছোট প্রযোজনার স্বপ্ন দেখানো প্রতিভাদের সুযোগ করে দিতে। তাঁর কথায়, “আমি কোনোভাবে পেরেছি। আর যখন পেরেছি, তখনই ঠিক করেছি অন্যদের জন্য সেই জায়গা তৈরি করব, যা আমি নিজে পাইনি।”শুধু তাই নয়, প্রিয়াঙ্কা আরও যোগ করেন— “আমি চেয়েছিলাম বিশ্বজুড়ে শিল্পীদের জন্য কাঁধ হতে, যাতে তারা তাদের যোগ্য আলো পেতে পারে। আমরা যেসব ছবি প্রযোজনা করেছি, সেগুলো দারুণভাবে গ্রহণ করেছে মানুষ। এবং আমরা তাদের সেই আলোকমঞ্চ দিয়েছি, যা তারা প্রাপ্য।”

 

 


জাহ্নবীর আশঙ্কা!

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আজ ডিজিটাল দুনিয়ার এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি। তবে এর সুবিধার পাশাপাশি বাড়ছে অপব্যবহারের আশঙ্কা। বিশেষ করে বিনোদন জগতে তারকাদের সম্মতি ছাড়াই ছবি–ভিডিও তৈরি বা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি পরিচালক শশাঙ্ক খৈতানের নতুন রোমান্টিক কমেডি সানি সংস্কারি কি তুলসি কুমারী –র ট্রেলার লঞ্চে এই বিষয়েই মুখ খুললেন ছবির দুই মুখ্যঅভিনেতা বরুণ ধাওয়ান ও জাহ্নবী কাপুর।

 

 

জাহ্নবী, যিনি ছবিতে তুলসির চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এক ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অভিনেত্রীর কথায়,
“সোশ্যাল মিডিয়ায় কত এআই ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেগুলো আমি কখনওই তৈরি করিনি। আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ওগুলো তৈরি করা হয়েছে।  আমি আর আপনি হয়তো বুঝতে পারব ওগুলো নকল ছবি, কিন্তু সাধারণ মানুষ ভাববে—‘ও তো সত্যিই এটা পরে বেরিয়েছে।’”

নিজেকে “পুরনো ধাঁচের” বলে বর্ণনা করে জাহ্নবী বলেন, “গল্প বলার ক্ষেত্রে মানুষের সৃজনশীলতা আর আসল আবেগ রক্ষা করা খুব জরুরি। সেটাই সিনেমার প্রাণ।”বরুণ ধাওয়ানও একই সুরে সায় দেন। তাঁর মতে, “প্রযুক্তি যেমন উপকারী, তেমনই এর খারাপ দিকও আছে। আইন ও নিয়ম না থাকলে তারকাদের পরিচয় ও সম্মান সহজেই নষ্ট হতে পারে।”

 

 

শেষ ‘হেওয়ান’! 

বলিউডে ফের ফিরছে নব্বইয়ের দশকের হিট জুটি! অক্ষয় কুমার ও সইফ আলি খান—যাদের একসঙ্গে দর্শক শেষবার বড়পর্দায় দেখেছিলেন ২০০৮ সালের ‘তাশান’–এ—তাঁরা এবার প্রিয়দর্শনের নতুন ছবি ‘হেওয়ান’-এ হাত মেলাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৭ বছরের বিরতি শেষে এই ‘খিলাড়ি–নবাব’ জুটি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে।

সম্প্রতি শেষ হয়েছে ছবির আউটডোর শুটিং। কেরলের কোচি–ভাগামন থেকে শুরু করে উটির পাহাড়ি লোকেশন জুড়ে টানা শুটিং শেষে ইউনিট এখন ফিরেছে মুম্বইয়ে। এক ক্রু মেম্বার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, “হেওয়ান-এর আউটডোর শুটিং শেষ! চমৎকার লোকেশন ঘুরে এখন মুম্বই ফিরছি পরবর্তী শিডিউলের জন্য।” ছবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন সাইয়ামি খের ও শ্রিয়া পিলগাঁওকর। উটি থেকে শুটিং শেষের আবেগঘন বার্তা শেয়ার করেন সাইয়ামি খের। তাঁর কথায়,“হেওয়ান-এর উটির শিডিউল শেষ করলাম কৃতজ্ঞতায় ভরা হৃদয় নিয়ে। অক্ষয় স্যার আর সইফ স্যারের উষ্ণতা, রসিকতা আর উদারতা এই যাত্রাকে সমানভাবে শেখা আর হাসিতে ভরিয়ে তুলেছে। আজীবনের স্মৃতি হয়ে রইল।”

এই ছবি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ নব্বইয়ের দশকে একসঙ্গে ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’, ‘ইয়ে দিল্লাগি, ‘তু চোর মেঁ সিপাহি’ আর ‘কিমত’-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে ঝড় তুলেছিলেন অক্ষয়–সইফ। সেই স্মৃতি উসকে দিয়েই ফিরছে তাঁদের জুটি।

প্রিয়দর্শন পরিচালিত এই ছবিটি প্রযোজনা করছে ভেঙ্কট কে. নারায়ণ ও শৈলজা ফেন, কেভিএন প্রোডাকশনস–এর ব্যানারে থেস্পিয়ান ফিল্মস–এর সহযোগিতায়। হাইওয়ান মুক্তি পাবে ২০২৬ সালে।