নিজের আবাসনেও সুরক্ষিত নেই অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র! নিজের বাড়িতেই বিপাকে পড়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে যেহেতু বেশ সরব শ্রীলেখা, তাই নিজের অসুবিধার কথা ভিডিও বার্তায় জানালেন অভিনেত্রী। এর আগে কালীপুজোর আগের দিন বহুতল আবাসনের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় বাজি বিক্রি হচ্ছে, দেখতে পান শ্রীলেখা মিত্র। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান অভিনেত্রী।
এরপর পুলিশে খবর দেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে আবাসনে পুলিশ এসেওছিল। কিন্তু তারপর থেকেই নাকি বিভিন্ন সমস্যার সূত্রপাত। নিজের আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ধার্য খরচ দেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কোনও ধরনের নিরাপত্তা এবং সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
প্রতিদিন সকালে আবাসনের প্রতিটি বাসিন্দার বাড়ি থেকে আবর্জনা নিয়ে যান সংশ্লিষ্ট এক পুরকর্মী। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে শ্রীলেখার বাড়ির আবর্জনা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ অভিনেত্রীর। ফলে আরও সমস্যায় পড়েছেন তিনি। এই ঘটনার পরেই অভিনেত্রী ঠিক করেন, নিজের ফ্ল্যাটের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবেন। প্রতিবেশীরা এতে আপত্তিও জানাননি।
সেই ঘটনার ভিডিও ভাগ করে শ্রীলেখা বলেন, “সিসিটিভি লাগানোয় আবাসনের ফেসিলিটি ম্যানেজার বলেছেন, আমায় আর কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হবে না। বাজি বিক্রি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সে দিনও তিনি হুমকি দিয়েছিলেন। আমি পুলিশ ডাকায় তাঁদের চাকরি নিয়ে নেওয়ারও ভয় দেখিয়েছিলেন। কোথা থেকে এত সাহস পান উনি? সব জানা আছে আমার।”
আরও পড়ুন: মাত্র তিন মাসেই বন্ধ হচ্ছে 'কিঁউকি সাঁস ভি কভি বহু থি ২'? হঠাৎ কেন কোপ পড়ল তুলসীর পরিবারে?
শ্রীলেখা ভিডিওতে দেখান নিজেই লোক দিয়ে বাড়ির সামনে পড়ে থাকা আবর্জনা সরিয়ে ফেলছেন তিনি। সঙ্গে বলেন, "এসব হচ্ছে বাজি বিক্রি বন্ধ করেছি বলে। একটা বিপদ ঘটে যেত চোখের সামনে, সেটা দেখেও কিছু বলতাম না? প্রতিবাদ করেছি বলে আমায় কোনও সুবিধা দিতে চাইছে না ওরা। বলছে সুরক্ষা দিতে পারব না। থ্রেট দিচ্ছে যে, যারা সিসিটিভি লাগিয়েছে, তারা কীভাবে বিল্ডিং থেকে বেরোয়, সেটা তারা দেখে নেবে। এসব ফেস করতে হচ্ছে আমায়, কারণ সেদিন বাজি বিক্রি বন্ধ করিয়েছিলাম বলে রাগ করে এমন করছে।"
শ্রীলেখা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরে যদি সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও অসুবিধার মধ্যে তিনি পড়েন তবে আইনি সাহায্য নেবেন। অভিনেত্রীর এই ভিডিওতে এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, 'ছিঃ একি অসভ্যতা। এর আগেও দেখেছি , অকারণ এই কমপ্লেক্স এর লোকেরা তোমার পায়ে পা বাজিয়ে ঝগড়া করেছে , কারণ কিছু সারমেয় কে শেল্টার দিয়েছিলে বলে। আজ এই অসভ্যতা করছে।
কিভাবে থাকো এদের সাথে বলো তো ! বর্বর লোকজন সব।' অন্য একজন লিখেছেন, 'আশ্চর্য তুমি তোমার মানে ফ্ল্যাটের দেওয়ালে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতেই পারো তোমার সিকিউরিটি পারপাস। সেটা তো ওদের কমন এরিয়ার মধ্যে পড়ে না। আসলে এই সকল সোসাইটি মনে করে একলা মহিলা একজন একা মহিলা খুব দুর্বল হয়ে থাকে।'
