এইমুহূর্তে দেব-শুভশ্রীর তুমুল বিতর্ক থেকে পুজোর ছবি নিয়ে অনীক-আবীরের তোপ - সবকিছুকে বাপি বাড়ি যা করে নেটপাড়ায় শিরোনামে অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং তাঁর ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’। আরও ভাল করে বললে, ‘হুলি-গান-ইজম’-এর গান। বঙ্গ রাজনীতির ‘তিন ঘোষ’কে খানিক প্যারোডি কিন্তু টইটুম্বুর রসবোধে একসূত্রে গেঁথে কণ্ঠ ছেড়েছিলেন টলিউডের এই অভিনেতা-পরিচালক-গায়ক। মঞ্চ থেকে অনির্বাণের গানের সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্তই বর্তমানে নেটপাড়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল। অনির্বাণ ও তাঁর ব্যান্ডের গানের নিশানায় যেমন রয়েছেন কুণাল ঘোষ, তেমন রয়েছেন দিলীপ ঘোষ এবং শতরূপ ঘোষ-ও। 

 

মঞ্চে পারফরম্যান্সের মাঝেই অনির্বাণ গেয়ে চলেন, “এসব গান বাজনা ছাড়, চল প্রোমোটারি করি, বড় গাড়ি চড়ি, ইলেকশনের মেজাজ বুঝে দলটা বদল করি!” এরপরই তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে গানের সংলাপে অনির্বাণ বললেন, “ভাই, ভাই, এই আমাদের দোষ!  গান-বাজনা করতে এসে এসব কথা বললে, রেগে যাবে, রেগে যাবে, রেগে যাবে কুণাল ঘোষ!…”  শোনামাত্রই উল্লাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত দর্শক। তবে এহেন রাজনৈতিক কটাক্ষ-সুগন্ধি মেশানো গানে মোটেই রাগ করেননি কুণাল ঘোষ। বরং সেই গানের ওই অংশটুকুর ভিডিও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে অনির্বাণ ও তাঁর ব্যান্ডের একপ্রকার ঢালাও প্রশংসা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র -“অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নতুন ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’ এর গানের অংশ। আমার মজা লেগেছে, ভাল লেগেছে। গানের ধরণ, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। একটু তির্যক? তাতে কী! কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভাল থেকো অনির্বাণ।” 

 

 

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নাম না তুলে মঞ্চ থেকে সেদিন তাঁকেও মঞ্চ থেকে খোঁচা দিয়েছেন ‘বলভপুরের রূপকথা’র পরিষকালক -“ভাই আর এক ঘোষও আছে। দাদা খুবই রোম্যান্টিক। ঘোষ দিয়ে যায় চেনা। গয়না-দোকান সব তুলে দাও গরুর দুধে সোনা!” আর শতরূপ? তাঁর অবশ্য নাম তুলে অনির্বাণের গান, “ওটা বিপ্লবীদের পার্টি, আর এক ঘোষও আছে। টিভির চ্যানেল পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি। তাই কিনেছে গাড়ি। দামটা বেশি খুব, ফেসবুকেতে রাজা মোদের দাদা শতরূপ।”

 

অনির্বাণের এই রঙ্গরস ভরা গানের ভিডিও মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। তাঁর ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’-এর ঝাঁঝালো কথামালা এখন নেটপাড়ার সেরা আলোচনার বিষয়। রাজনীতি আর ব্যঙ্গ–বিদ্রুপকে এভাবে মিশিয়ে যে ঝকঝকে বিনোদন তৈরি করা যায়, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বোধহয় এই গানটাই।