প্রায়শই শিরোনামে থাকেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে নিরন্তর চর্চা চলে সমাজমাধ্যমেও। শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও নিজস্ব শর্তে চলতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী। অবশ্য বেশিরভাগ সময়েই তাঁর ইমেজ একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের মতো। স্টার্ডামের পরোয়া করেন না কণামাত্র। কখনও খানিক আলুথালুভাবেই নিজের পোষ্যকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে যান, তো কখনও অবলীলায় মুম্বইয়ের রাস্তায় অটো করে ঘুরে বেড়ান। বোনের সঙ্গে আবার টুক করে উঠে পড়েন কলকাতার বুকে চলতে থাকা কোনও রিক্সায়। সমাজমাধ্যমে প্রায়শই খোলাখুলিভাবেই নিজের মনের কথা জানান স্বস্তিকা। এবার ক্রিসমাসের আগেই সেই উৎসব উপলক্ষে একটি বিশেষ বার্তা দিলেন তিনি। সেটিকে অনুরোধও বলা যেতে পারে।
তা কী লিখেছেন অভিনেত্রী? “আপনাদের শুধু মনে করিয়ে দিই আরও একবার, ক্রিসমাস উপলক্ষে চারপাশ আলোয় সেজে উঠছে, ক্রিসমাস ক্যারোলের মিষ্টি সুরও গুনগুন করে শোনা যাচ্ছে আশেপাশে। অসংখ্য মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের যেমন মিস করছেন, কেউ বা অর্থের চিন্তায় দুঃসহ চিন্তায় ভুগছেন। আবার কেউ অবসাদের সঙ্গে একহাতে লড়ছেন, কেউ বা ভুগছেন গভীর বিষণ্ণতায়। আবার কেউ হয়তো নিজের কাছের মানুষকে আপ্রাণ নিজের কাছে রেখে দেওয়ার চেষ্টায় প্রাণপাত করে চলেছেন। তাই একটু দয়ালু হন।”

অভিনেত্রীর এই ছোট্ট প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালবাসায় ভাসছেন স্বস্তিকা। পোস্টের মর্মার্থ অনুভব করে অনুরাগীরা তাঁকে শুভেচ্ছার পাশাপাশি তাঁর সাহস ও স্পষ্ট বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। কেউ লিখেছেন, “এই পৃথিবীতে খুব কম মানুষ-ই আছেন যাঁরা আপনার মতো ভাবতে পারে।” কেউ বা লিখেছেন, “অনেক ভালবাসা নেবেন। আপনি সত্যিই একজন ভাল মানুষ।” আর এক নেটিজেন লিখেছেন, “ঠিক এই কারণেই আপনি অনন্যা। বাকিদের থেকে আলাদা। ভীষণ মিষ্টি লাগল এই বার্তা।”
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নিজের ৪৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সমাজমাধ্যমে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা। হলুদ-সাদা চেক ডিজাইনের বিকিনিতে সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল এই অভিনেত্রী। বয়স গোপন না করে ছবির সঙ্গে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একটি লেখা তিনি লিখেছিলেন, “এই দেহটা বেঁচে আছে। সন্তান ধারণ করেছে, কাজ করেছে, যত্ন করেছে, দুঃখ করেছে, আনন্দ করেছে, রাজনীতি করেছে, প্রতিরোধ করেছে। এমন একটা দেহ যা সমাজ যখন অদৃশ্য হতে বলেছিল তখনও অবসর নেয়নি। এমন একটা দেহ যা এখনও জল, সূর্য, স্থান দাবি করে। যদি এটা কাউকে অস্বস্তিকর করে তোলে, তবে ভালো। বয়স বাড়ানো সমস্যা নয়...”
