স্বরা ভাস্কর বরাবরই স্ট্রেট ফরোয়ার্ড। কোনও রাখঢাক ছাড়াই কথা বলেন। আগেও একাধিকবার তিনি তাঁর ফিল্মি সফরের বিষয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি তিনি এক সাক্ষাৎকারে একটি নির্দিষ্ট ছবিতে কাজ করতে গিয়ে যে অস্বস্তির মধ্যে তাঁকে পড়তে হয় সেটা নিয়ে কথা বলেন।
অভিনেত্রী এদিন জানান 'বীরে দি ওয়েডিং' ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তিনি যারপরনাই অস্বস্তির মধ্যে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর উপর সেক্সি দেখানোর চাপও ছিল। স্বরা এদিন কথা বলেন এই ছবির চর্চিত গানগুলো নিয়ে। জানান এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁকে তাঁর কমফোর্ট জোনের বাইরে বেরোতে হয়েছিল। বিশেষ করে যখন ছবির প্রয়োজনে তাঁকে সেই বডিস্যুট পরতে হয়েছিল, তাতে অভিনেত্রীর মনে হয়েছিল তিনি যেন অর্ধনগ্ন। প্রায় কিছুই পরে নেই।
স্বরা জানান বীরে দি ওয়েডিং ছবিতে করা চরিত্রটি তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে কঠিন চরিত্র। না, সেখানে কাজের জন্য নয়। বরং গ্ল্যামারাস দেখানোর মারাত্মক চাপ ছিল তাঁর উপর। অভিনেত্রী বলেন, 'আমি যেমন অভিনেতা, তাতে আমি যখন একটা চরিত্রের জন্য তৈরি হই তখন তার শরীরী ভাষা, সংলাপ, লাইন এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারি। কিন্তু আমার জন্য সব থেকে চাপের কাজ হল গ্ল্যামারাস চরিত্র করা। বীরে দি ওয়েডিং ছবিতে আমার চরিত্রটা পুরোপুরি গ্ল্যামার, জামা, লুকসের উপরেই ছিল। ওজন কমানোর চাপ ছিল, সেক্সি, হট দেখাতে হতো।'
স্বরা এদিন সেই দিনটির কথাও স্মরণ করেন যেদিন তাঁকে 'তারেফিন'-এর শুটের জন্য বডিসুট পরতে হয়েছিল, যা এর আগে তিনি কখনই পরেননি। সেই স্মৃতি হাতড়ে অভিনেত্রী বলেন, 'প্রতিদিন সুন্দর দেখানোটা সত্যিই চাপের বিষয়। তারেফিন এর জন্য বডিসুট পরার কথা মনে পড়ছে। ওই সময়ই আমি প্রথমবার বডিসুট কথাটা শুনেছিলাম। ওটা বেসিক্যালি একটা ওয়ান পিস সুইমিং কস্টিউম, সঙ্গে ডিপ নেক কাট ছিল। সঙ্গে হিল বা বুট পরতে হতো। আমি ওদের বলেছিলাম আমায় কি এখন অর্ধনগ্ন দেখাচ্ছে? আমি বাধ্য হয়ে তোয়ালে চেয়েছিলাম যাতে নিজেকে ঢাকতে পারি। আমার জন্য কঠিন ছিল বিষয়টা।'
তবে যতই চাপ থাকুক, স্বরা নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান। তাঁর সেই কাজ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'বীরে দি ওয়েডিং'।
