গত এপ্রিলে কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ের  বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ পর্যটকের। তারপর থেকেই ভারত–পাক সম্পর্ক উত্তপ্ত। এরপরেই ভারতীয় সেনারা চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার মধ্যেই ঘোষণা হয়েছে, এশিয়া ওয়ার্ল্ড কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের—১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইতে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আর এই ম্যাচ নিয়েই জোর গরমাগরম বিতর্ক শুরু দেশজুড়ে। অনেকেই দাবি তুলেছেন, এত বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও খেলাধুলা হওয়া উচিত নয়।

ঠিক এই সময়েই বলিউড অভিনেতা সুনীল শেট্টি মুখ খুললেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন—“এটা একটা বিশ্ব ক্রীড়া সংস্থা দ্বারা পরিচালিত টুর্নামেন্ট। এখানে অনেক দেশ, অনেক খেলোয়াড় যুক্ত। তাই নিয়ম মানতেই হবে। ভারতীয় হিসেবে আমি বলব—খেলা দেখব কি দেখব না, সেটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু ক্রিকেটারদের দোষ দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়। ওঁরা তো দেশের হয়ে খেলতে নামছে।”

শেট্টি আরও স্পষ্ট করে বলেন—“ভারত সরকারের হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। কিন্তু খেলোয়াড়দের দোষারোপ করা যায় না। যদি আমি না দেখতে চাই, তাহলে দেখব না। এটা পুরোপুরি আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ।”

তবে অভিনেতার এই মন্তব্য ভালভাবে নেয়নি অনেকে। বরং সমাজমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে ট্রোলিং শুরু হয়েছে চারিদিকে। বিশেষ করে তাঁর জামাই, টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার কেএল রাহুল-এর প্রসঙ্গ টেনে মশকরা চলছে। এক জন লিখেছেন— “আশা করি, ওঁর জামাইয়ের দলে জায়গা থাকবে, বাদ না পড়ে যায় যেন!” আরেকজনের মন্তব্য— “কেএল রাহুলের শ্বশুর, জামাইয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলবে কেন?” অনেকে ছাড়েননি কেএল রাহুলকে ট্রোল করতেও। 
আবার অনেকে সাফ বলেছেন— “খেলোয়াড়দের আগে তাঁরা ভারতীয়, তারপর ক্রীড়াবিদ।”

অর্থাৎ, ভারত–পাক ম্যাচ হওয়া উচিত কি না তা নিয়ে যেমন মতবিভাজন রয়েছে, তেমনই সুনীল শেট্টির মন্তব্য নিয়েও চলছে তীব্র বাকযুদ্ধ।

 আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ম্যাচ ঘিরে তাই শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও সমান উত্তাপ।