ডিসেম্বর জুড়ে শহরে ভক্তির আবহ, আর সেই সুরের রেশ এবার পর্দা পেরিয়ে পৌঁছে যাবে দর্শকের মনেও। সৌজন্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’। সোমবার মুক্তি পেল সেই ছবির নতুন ভক্তিমূলক গান ‘জগন্নাথ স্বামী নয়ন পথগামী’। সোমবার প্রকাশিত এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জয়তী চক্রবর্তী ও পদ্ম পলাশ। সুরারোপ ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর।
গানের মন্তাজে ফুটে উঠেছে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গভীর ভক্তির আবহ। নজর কেড়েছেন শ্রীচৈতন্যের রূপে দিব্যজ্যোতি দত্ত এবং বিনোদিনীর চরিত্রে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। জগন্নাথ বন্দনার ছোঁয়া নিয়ে গানটি প্রকাশ পেতেই শ্রোতাদের মন জয় করেছে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবি ঘিরে আগ্রহের পারদ উত্তরোত্তর চড়ছে। মুক্তির আগে থেকেই তুঙ্গে আলোচনা-চর্চা। ছবিতে তুলে ধরা হবে চৈতন্যদেবের জীবন, তাঁর দর্শন এবং তাঁকে ঘিরে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনাক্রম। তিনটি ভিন্ন সময়কালকে কেন্দ্র করে তিনটি গল্পের বুননেই গড়ে উঠবে এই ছবির আখ্যান।
ছবিটির প্রযোজনা করছে রাণা সরকার ও এসভিএফ। আধ্যাত্মিকতা, ইতিহাস এবং শক্তিশালী অভিনয়ের সংমিশ্রণে বড়দিনে দর্শকদের জন্য বিশেষ উপহার হয়ে উঠবে বলেই আশা করছেন নির্মাতারা।
যে চৈতন্যদেবের মূর্তি স্বর্গদ্বারে প্রতিষ্ঠিত, তাঁর জন্মভিটে এখনও পর্যন্ত ‘হেরিটেজ সাইট’ হিসাবে ঘোষণার অপেক্ষায়—এই প্রশ্নই প্রথম ঝলকে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি উঠে এল আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রহস্য। চৈতন্যদেবের অন্তর্ধান। কীভাবে সেই অন্তর্ধান ঘটেছিল? ইতিহাসে প্রচলিত নানা তত্ত্বের মধ্যে কোনটি গ্রহণ করল এই ছবি? তা দেখার অপেক্ষায় দর্শক।
মহাপ্রভুর ভূমিকায় অভিনয় করে আপ্লুত দিব্যজ্যোতি। আজকাল ডট ইন-কে তিনি বলেন, “সৃজিত মুখোপাধ্যায় আমার ভীষণ পছন্দের পরিচালক। ওঁর ছবিতে কাজ করছি, আমার কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। তা-ও আবার কেরিয়ারের প্রথম ছবি-ই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায়। আমি কতটা খুশি, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ওঁর পরিচালিত ছবি ‘জুলফিকার’ যখন দেখতে গিয়েছিলাম, তখন স্কুলে পড়ি। আর এখন তাঁর পরিচালনাতেই অভিনয় করছি, নিজেরই কেমন অবিশ্বাস্য লাগছে।”
প্রায় ৫০০ বছরের সময়কাল জুড়ে মহাপ্রভুকে ঘিরে যে তথ্য-সূত্র, যে রহস্য উন্মোচিত হয়নি—সেই অসমাপ্ত ‘জিগস-পাজল’ সমাধানের চেষ্টাই করতে চলেছেন ‘এই যুগের পরিচালক রাই’। ছবির মধ্যে ‘রাই’–এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইশা সাহা। আর রাইয়ের ছবিতে চৈতন্যের চরিত্রে থাকবেন যিনি—অর্থাৎ পার্থসারথির ভূমিকায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। বিনোদিনীর ভূমিকায় শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, গিরিশ ঘোষের ভূমিকায় ব্রাত্য বসু, শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের চরিত্রে পার্থ ভৌমিক।
