নিজস্ব সংবাদদাতা: গানের জগতে প্রবেশ করাটা শুরুতেই খুব সুখকর হয়নি।‌ পেরোতে হয়েছে বহু বাধাও। কিন্তু হাল ছাড়েননি গায়িকা স্নিতা প্রামাণিক। আজকাল ডট ইন-কে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার কাহিনি থেকে শুরু করে নতুন কাজ নিয়ে জানালেন গায়িকা।



ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা।বাবা,মার উৎসাহে গানকে সঙ্গী করেন স্নিতা। হাতেখড়ি ক্লাসিক্যাল গানে হলেও রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে পড়াশোনা এবং তারপর বেছে নেন লোকগীতিকে। বর্তমানে লোকসঙ্গীত চর্চাই করেন গায়িকা। রয়েছে প্রয়াত শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের সঙ্গেও বহু স্মৃতি। স্নিতার কথায়, “আমার গান শুনে কালিকাদা আমায় ফোন করেন। রিয়্যালিটি শো’য়ের কথা বলেন। আমি ফোনটা পেয়ে আর কিছু ভাবতে পারিনি। ওঁর সান্নিধ্যে অনেক কিছু শিখেছি।’’
জীবনের পথে চলতে গিয়ে সাক্ষাৎ হয়েছে বহু মানুষের সঙ্গে। পথে যেমন বাধা হয়েছেন কেউ কেউ। ঠিক তেমনই কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছেন অনেককে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মৌ রায়চৌধুরী।

স্নিতার কথায়, “মৌদি, আমায় যেভাবে আগলে রাখতেন তা কোনওদিন ভুলব না। নিজের বোনের মতো ভালবাসতেন আমায়।’’

একসময়ে শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে গানকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বর্তমানে দেশ, বিদেশের বহু ছাত্রছাত্রীকে ‘স্নিতা মিউজিক অ্যাকাডেমি’ মাধ্যমে সুর দান করেন গায়িকা। গানের সঙ্গে রান্নার প্রতিও রয়েছে তাঁর প্যাশন। তাই বিধাননগরের বুকে শুরু করেছেন প্রথম ফোক থিম রেস্তোরাঁ। স্নিতা স্বপ্ন দেখেন তাঁর মেয়ে বড় হয়ে মায়ের পাশে দাঁড়াবে। তাঁর লড়াইয়ের যোগ্য মর্যাদা দেবে।



আগামীতে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর তিনটি গান, ৯ আগস্ট তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ‘স্নিতা মিউজিক অফিশিয়াল’ এবং ‘ওটিটি সলিউশন’-এর পেজে মুক্তি পাচ্ছে এই গানগুলো। তালিকায় রয়েছে একটি সুফি গান, গনেশ বন্দনা এবং গুণময় রায়ের লেখা, স্নিতার সুর ও কন্ঠে পুজোর গান। এই মুহুর্তে নিজের অনেক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন স্নিতা।