সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডে ‘গডফাদার’ না থাকলে সুযোগ আসে না—এই বাস্তবতা ফের একবার স্পষ্ট করলেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ নিগম। কিশোর বয়স থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে চমক দেখানো এই অভিনেতা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, তিনি ‘আজাদ’ নামে একটি বড় বাজেটের ছবির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই প্রজেক্ট চলে গেল আজয় দেবগণের ভাইপো, আমান-এর হাতে।
“আমি একদম প্রস্তুত ছিলাম, ওই চরিত্রটির জন্য ভীষণ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কথা চলছিল। হঠাৎ একদিন শুনি প্রজেক্ট হাতছাড়া! কোনো ব্যাখ্যা নেই, কিছু জানানোও হয়নি—শুধু নীরবতা!” — কষ্ট গোপন না রেখে বললেন সিদ্ধার্থ।
১০ বছরের ইন্ডাস্ট্রি-জার্নির পরও এভাবে প্রজেক্ট হারানো মন ভেঙে দিয়েছিল তাঁকে। “আমার স্ক্রিন প্রেজেন্স আছে, ডিসিপ্লিন আছে, স্কিলও আছে। তার পরেও হারালাম শুধু এই কারণে—আমার পিছনে কেউ ছিল না। কারণ শুধুই প্রতিভা থাকা যথেষ্ট নয়। একজন 'গডফাদার' থাকলে হয়তো সবটা পাল্টে যেত,” বললেন তিনি। সিদ্ধার্থের এই দাবি প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটপাড়ায় উঠেছে ছি ছি রব।
আরও বলেন, “মা এই ছবির সব বৈঠকে আমার সঙ্গে যেতেন, প্রথম থেকে সবটা পাশে থেকে দেখেছেন। তাই ওঁরকষ্টটা আরও বেশি ছিল। আমিও কষ্ট পেয়েছি, কিন্তু নিজেকে বোঝাতে শিখেছি—এটাই এই ইন্ডাস্ট্রির রীতি।” আজাদ ছবির গোটা বিষয়টা নিয়ে সিদ্ধার্থের রাগ নেই, কিন্তু বলিপাড়ার বাস্তবটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তিনি - “আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু এটা বুঝিয়ে দিল—বলিউডে কাজ পেতে শুধু প্রতিভা নয়, ‘সাপোর্ট’ আর ‘সিস্টেম’-এর ভিতর থাকাটাও জরুরি।”
‘হ্যায় জুনুন’ সিনেমা তাঁকে ফের আলোচনায় এনেছে ঠিকই, কিন্তু সিদ্ধার্থ চান এমন একটা কাজ, যা মানুষ তাঁকে দিয়ে চিনবে। “আমি ‘ধুম ৩’, ‘কিসি কা ভাই, কিসি কা জান’-এর মতো বড় প্রজেক্টে কাজ করেছি। কিন্তু আমি এমন একটা সিনেমার অপেক্ষায়, যেটা দেখে সবাই বলবে—‘এই তো সিদ্ধার্থ নিগম, অভিনেতা।” শুধুই ফিটনেস বা পেটানো চেহারা নয়, অভিনয়েই নিজের ছাপ রাখতে চাই।”
