বলিউডের 'কিং খান' শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান সম্প্রতি আলিবাগে জমি কেনাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, গত বছর মে মাসে তিনি মহারাষ্ট্রের আলিবাগের থাল গ্রামে প্রায় ১২.৯১ কোটি টাকা দিয়ে প্রায় দেড় একর কৃষিজমি কিনেছিলেন। এই জমি কৃষকদের জন্য বরাদ্দ ছিল এবং আইন অনুযায়ী কৃষিজমি শুধু কৃষকরাই কিনতে পারেন। অথচ রেজিস্ট্রেশন নথিতে সুহানাকে কৃষক হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই সময় তিনি প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকার স্ট্যাম্প ডিউটি জমা দেন।
জমিটি তিন বোন—অঞ্জলি, রেখা এবং প্রিয়ার কাছ থেকে কেনা হয়। তাঁদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে এই জমি পেয়েছিলেন তাঁরা। জমি কেনার পুরো প্রক্রিয়া 'দেজাভু ফার্ম প্রাইভেট লিমিটেড' নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যাঁরা গৌরী খানের মায়ের আত্মীয়। এর আগে সুহানা আলিবাগেই প্রায় ১০ কোটি টাকার আরেকটি সমুদ্রতীরবর্তী সম্পত্তি কিনেছিলেন।

এখন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হল—কীভাবে সুহানাকে কৃষক হিসেবে দেখানো হল এবং কৃষিজমি কেনার অনুমতি ছাড়াই এত বড় লেনদেন সম্পন্ন হল। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রেসিডেন্ট ডেপুটি কালেক্টর এবং সংশ্লিষ্ট তহসিলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তাঁরা নথিপত্র যাচাই করে রিপোর্ট জমা দেন।
আইন অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে কৃষিজমি বিক্রি করার আগে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। অনুমতি ছাড়া এই ধরনের জমি বিক্রি বা ক্রয় করা বেআইনি। অভিযোগ উঠেছে, নথিতে সুহানাকে কৃষক হিসেবে দেখানোই এই অনুমতি এড়ানোর কৌশল ছিল। যদি তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হয়, তাহলে জমি ক্রয় চুক্তি বাতিল হওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘শ্বশুরবাড়িতে ছোট প্যান্ট পরা যেত না আর…’ প্রাক্তন স্বামীর পরিবার নিয়ে বিস্ফোরক এষা দেওল!
এদিকে, সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, 'তারকাদের পরিবার হওয়ায় বিশেষ সুবিধা নিয়ে এ ধরনের লেনদেন করা হয়েছে।' আবার কেউ কেউ বলছেন, 'মহারাষ্ট্রে এ ধরনের কৃষিজমি কেনার ক্ষেত্রে ভুয়া কৃষক পরিচয় ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়; বহু ধনী পরিবার এভাবে আইন এড়িয়ে চলেছে।'
বর্তমানে প্রশাসনের তদন্তের ফলাফলের দিকেই নজর সবার। কারণ এই ঘটনা শুধু শাহরুখ খানের পরিবারের জন্য নয়, বরং সাধারণ মানুষের চোখে আইন সবার জন্য সমান কিনা, তা প্রমাণেরও একটি বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত শাহরুখ খান কিংবা সুহানা খানের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য আসেনি।
