মুক্তির ১৩ বছর পরেও তার গর্জন কমেনি। ২০১২ সালে কবীর খান পরিচালিত সলমন খান–ক্যাটরিনা কইফ অভিনীত সুপারহিট ছবি 'এক থা টাইগার' জায়গা করে নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ইন্টারন্যাশনাল স্পাই মিউজিয়ামে। এই সম্মান অর্জন করে ছবিটি বলিউডের ইতিহাসে অনন্য হয়ে উঠল—কারণ জেমস বন্ড থেকে মিশন ইমপসিবল, মেন ইন ব্ল্যাক–এর মতো আন্তর্জাতিক আইকনিক স্পাই মুভির ভিড়ে একমাত্র ভারতীয় সিনেমা হিসাবে স্থান পেল ‘এক থা টাইগার’।

 

 

স্পাই মিউজিয়ামের বিশেষ সেকশনে বিশ্বের প্রায় ২৫টি বিখ্যাত স্পাই সিনেমা ও সিরিজের পোস্টার শোভা পাচ্ছে। সেখানে ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’, ‘স্পাই গেম’, ‘টিঙ্কার টেইলার সোলজার স্পাই’, ‘ব্রিজ অফ স্পাইজ’, ‘মেন ইন ব্ল্যাক’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’–এর পাশাপাশি এখন থেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে সলমন–ক্যাটরিনার ‘এক থা টাইগার’–এর পোস্টারও।

 

 

পরিচালক কবীর খান নিজেই প্রথমে খবরটি জানতেন না। তিনি বলেন, “বন্ধুরা আমাকে মেসেজ করেছিল—ওরা লিখেছিল, ‘আমরা স্পাই মিউজিয়ামে এক ছিল টাইগার–এর পোস্টার দেখেছি। পুরো গ্যালারির মধ্যে ওটাই একমাত্র হিন্দি সিনেমা।’ শুনে দারুণ লাগল। সত্যিই আনন্দের বিষয় যে সলমন আর ক্যাটরিনার মুখ আজ সেখানে আন্তর্জাতিক ছবিগুলির পাশে শোভা পাচ্ছে।”

 

কবীর খান আরও যোগ করেন, “এই ছবিটা সময়ের সঙ্গে আলাদা এক পরিচয় তৈরি করেছে। আজও আমাকে প্রচুর মানুষ বার্তা পাঠান ছবিটার প্রশংসা করে। তখনকার দিনে আমরা অ্যাকশনে এতটা ভিএফএক্স ব্যবহার করতাম না। কাঁচা, বাস্তব অ্যাকশন দর্শকের সঙ্গে আলাদা সংযোগ তৈরি করে, যা ভিএফএক্সে সবসময় সম্ভব হয় না।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ক্যাটরিনা কাইফকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মেরি ক্রিসমাস’ ছবিতে। অন্যদিকে সলমন খান সর্বশেষ দেখা গিয়েছেন ‘সিকান্দর’ ছবিতে। খুব শিগগিরই তিনি আসছেন 'ব্যাটল অফ গলওয়ান'–এর মাধ্যমে। 
অন্যদিকে, ‘বিগ বস’-এ ‘উইকেন্ড কা ভার’-এর মঞ্চে বসে কখন যে প্রতিযোগীদের ধমক থেকে বিশ্বরাজনীতির দিকে মোড় নিলেন সলমন, টেরই পাননি কেউ। শনিবার রাতের ‘বিগ বস ১৯’-এর পর্বে প্রতিযোগী ফারহান ভাটকে তাঁর আচরণের জন্য ভর্ৎসনা করা শুরু করেন ‘টাইগার’। তখনই সলমন খান মন্তব্য করে বসলেন — “যে সবথেকে বেশি ঝামেলা পাকাচ্ছে, সে নিজেই আবার শান্তি পুরস্কার চাইছে!” সরাসরি নাম না করলেও, ফারহান ভাটকে করা এই মন্তব্য আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশেই এই খোঁচা, তা দর্শক থেকে নেটিজেন— সকলেই বুঝে গেলেন মুহূর্তে।

গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একের পর এক আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব মেটানোর দাবি করেছেন। কখনও ভারত-পাকিস্তান, কখনও বা ইজরায়েল-ফিলিস্তিন। অথচ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি বারবার সেই দাবি খারিজ করেছে। তবুও ট্রাম্পের সমর্থকেরা তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দাবিতে সরব। সলমনের মন্তব্যে যেন সেই সমগ্র বিতর্কই উঠে এল এক লাইনে।