আহান পাণ্ডে এবং অনীত পাড্ডার রসায়ন কেবল পর্দার জন্য নয়! ছবির প্রেম গড়িয়েছে বাস্তবেও। ‘সাইয়ারা’ ছবির এই জুটি তাঁদের রোম্যান্টিক সমীকরণ দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছে। বাস্তবেও তাঁরা একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে বলে খবর। তবে এখানেও একটি টুইস্ট আছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আপাতত জুটিকে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক গোপন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাস্তব জীবনের বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের সূত্রপাত নাকি ছবির শুটিং চলাকালীন। যখন তাঁরা পর্দার প্রেমকে জীবন্ত করে তুলছিলেন। জাঁদুকাঠি ছুঁইয়ে দিচ্ছিলেন অভিনয় দিয়ে।
‘সাইয়ারা’ একটি মিউজিক্যাল রোমান্টিক ছবি। পরিচালনা করেছেন মোহিত সুরি এবং প্রযোজনা করেছে যশরাজ ফিল্মস। ছবিটি আংশিকভাবে ২০০৪ সালের কোরিয়ান ছবি ‘আ মোমেন্ট টু রিমেম্বার’এর অনুপ্রেরণায় তৈরি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত অভিনেতা আহান এবং অনীত । ১৮ জুলাই ছবিটি থিয়েটারে মুক্তি পায়। দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়। বিশেষভাবে প্রশংসিত হয় দুই নবাগতর অভিনয়। মোহিতের পরিচালনা, হৃদয়স্পর্শী গল্প এবং মন মাতানো গান, সব মিলিয়ে বক্স অফিসে সাফল্য রচনা করে এই ছবি। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে নায়ক-নায়িকার রসায়ন।
বাণিজ্যিক দিক থেকে ‘সাইয়ারা’ হয়ে ওঠে ব্লকবাস্টার, যা বিশ্বব্যাপী ৫৭৭ কোটি আয় করেছে। এটি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি ছবি এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবিও বটে। ছবিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও প্রশংসিত।
আহন এবং অনীতের অনন্য রসায়ন কেবল ছবির সাফল্যের জন্য নয়, বাস্তবের সম্পর্কেও প্রতিফলিত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে তাদের সম্পর্ক গোপন রাখার নির্দেশ রয়েছে। ভক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যেই তাঁদের বাস্তব প্রেমের গুজব নিয়ে উত্তেজনা এবং আলোচনা তুঙ্গে।
দু’জনই আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে তিনটি ছবির চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। আদিত্যই তাঁদের ‘সাইয়ারা’র মাধ্যমে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। এই চুক্তি হয়তো ভক্তদের আরও সুযোগ দেবে এই জুটিকে পর্দায় দেখার। ফের তাঁদের মন ভোলানে রসায়ন চাক্ষুষ করার।
ছবি মুক্তির আগে বা পরে তারকাদের অহন কিংবা অনিতকে প্রচারে যোগ দিতে দেখা যায়নি। তবে এবার ওটিটিতে মুক্তির আগেই মুম্বইয়ের সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির দুই মুখ্য তারকা। সেখানে এসেই অনিত ফাঁস করলেন এক গোপন তথ্য। অভিনেত্রী জানালেন, শুটিংয়ের শেষ দিনে অহনকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদেছিলেন তিনি।
চোখের জল আটকাতে পারেননি অহনও। অনিত বলেন, "শুটিংয়ের শেষ দিন খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমরা ভাবছিলাম এক বছর ধরে যেভাবে দু'জন কাজ করেছি, একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি, আর হয়তো সেরকম কিছু হবে না কোনওদিন। কিন্তু আমাদের কান্না থামাতে ছুটে এসেছিলেন প্রোডাকশনের সবাই। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ছবির শুটিং শেষ মানেই আর দেখা হবে না তা নয়। এরপর প্রচারের জন্য অনেকবার একসঙ্গে হবে পুরো টিম। তবুও সেই সময় চোখের জল বাঁধ মানছিল না।"
সেই কান্না কি শুধুই মন খারাপের? নাকি বিরহেরও? নায়ক-নায়িকার প্রেমের গুঞ্জনের মাঝে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
