সংবাদ সংস্থা মুম্বই: অ্যাকশন ঘরানার ছবিখ্যাত পরিচালক রোহিত শেঠি ফের একবার ফিরছেন বড়পর্দায়। তবে তাঁর এবারের ছবির গল্পে নেই অতিরিক্ত 'মশলা', নেই ওভার-দ্য-টপ হিরোগিরি। কিন্তু ইউনিফর্ম? একদম আছে! এবার তিনি জুটি বেঁধেছেন জন আব্রাহামের সঙ্গে— অন্যরকম এক স্পেশাল স্ক্রিন অ্যাডাপ্টেশন নিয়ে। মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাকেশ মারিয়ার আত্মজীবনী 'লেট মি সে ইট নাও'  অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে নতুন ছবি।

 

 

খবর, এ ছবির শুটিং শুরু হবে আগামী ১৮ এপ্রিল, টেম্পোরারি স্টুডিয়ো বেস এসেল স্টুডিওতে। রোহিতের হাতে তৈরি টানা চার মাসের কড়া শিডিউল। জুনের মধ্যেই এ ছবির বড় একটা অংশ ক্যামেরাবন্দি হয়ে যাবে। এটাই রোহিতের প্রথম বায়োপিক-ধর্মী প্রজেক্ট। আর আর বাজেট? ১০০ কোটিরও বেশি!

 

সূত্র বলছে, রোহিত বরাবরই এমন একটা কপ থ্রিলার বানাতে চেয়েছিলেন, যা বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে। আর রাকেশ মারিয়ার জীবন? সেটা নিজেই এক হাই-ভল্টেজ থ্রিলার! ১৯৯৩ বম্বে ব্লাস্ট থেকে ২৬/১১, মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে এটিএস-এর ইনসাইড অপারেশন—সব আছে এই গল্পে।

 

ছবির শুটিংয়ের চারপাশ জুড়ে থাকবে রিয়্যাল লোকেশন।  এই প্রজেক্টের শুটিং চলবে মুম্বইয়ের মোট ৪০টি লোকেশনে—ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস, বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত মুম্বইয়ের বস্তি-ডোংরিতে, তাজমহল প্যালেস হোটেলসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। প্রথম দফায় ফোকাস থাকবে রাকেশ মারিয়ার চাকরির প্রথম দিকের কাহিনিতে। থাকবে ১৫০ জনের বেশি টেকনিক্যাল ক্রু, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার, প্রস্থেটিক্স স্পেশালিস্ট আর পুরোদস্তুর রিসার্চ টিম। এমনকি এটিএস হেডকোয়ার্টারের একটা সেটও বানানো হচ্ছে স্টুডিয়োর ভেতরে।


জন আব্রাহাম এ ছবি প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “রোহিতের সঙ্গে বহুবার কথা হয়েছে, কাজ করার ইচ্ছেটা অনেকদিনের। এবার সেটা বাস্তব হতে চলেছে। আমি নিজেও দারুণ আগ্রহী এই প্রজেক্ট নিয়ে।”