হলিউডের কিংবদন্তি পরিচালক ও অভিনেতা রব রাইনার এবং তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রাইনারকে লস অ্যাঞ্জেলেসে তাঁদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। রবিবার রাতে টিএমজেড এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ব্রেন্টউডে তাঁদের বাড়ি থেকে দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পরে টিএমজেড জানায়, ওই মৃতদেহ দু’টি রব রাইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রাইনারেরই।

টিএমজেড-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার দুপুরে রব ও মিশেলের ব্রেন্টউডের বাড়িতে দু’জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র নিশ্চিত করেছে যে তাঁরা আর কেউ নয়, স্বয়ং রাইনার দম্পতি। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, দু’জনের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা দেখে প্রাথমিক ভাবে ছুরির আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত এলএপিডির রবারি হোমিসাইড ডিভিশনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।

কে ছিলেন রব রাইনার?

রব রাইনার ছিলেন একজন অভিনেতা, পরিচালক। বিনোদন জগতের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব তিনি। সাতের দশকে সিবিএস-এর জনপ্রিয় সিটকম ‘অল ইন দ্য ফ্যামিলি’ তে মাইক ‘মিটহেড’ স্টিভিক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত কৌতুকাভিনেতা এবং লেখক কার্ল রাইনারের পুত্র।
অভিনেতা হিসাবে রব রাইনার কাজ করেছেন স্লিপলেস ইন সিয়াটল (১৯৯৩), বুলেটস ওভার ব্রডওয়ে (১৯৯৪), ইডিটিভি (১৯৯৯), এভরিওয়ান’স হিরো (২০০৬) এবং দ্য উলফ অফ ওয়াল স্ট্রিট (২০১৩)-এর মতো উল্লেখযোগ্য ছবিতে।

তবে পরিচালক হিসাবেই হলিউডে নিজের স্থায়ী ছাপ রেখে যান রব। ১৯৮৪ সালে হেভি মেটাল মকুমেন্টারি ‘দিস ইজ স্পাইনাল ট্যাপ ’ দিয়ে তাঁর পরিচালনায় হাতেখড়ি। আটের দশকে ‘ওয়েন হ্যারি মেট স্যালি’, ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ এবং ‘স্ট্যান্ড বাই মি’এর মতো একের পর এক সফল ছবি পরিচালনা করে তিনি হলিউডের অন্যতম সফল পরিচালক হয়ে ওঠেন। নয়ের দশকের শুরুতে ‘মিজরি’ দিয়ে সেই সাফল্যের ধারা বজায় রাখেন এবং পরে ‘আ ফিউ গুড মেন’  ছবির জন্য অস্কার মনোনয়নও পান।

আটের দশকের শেষ দিকে ‘হোয়েন হ্যারি মেট স্যালি’ র সেটে আলোকচিত্র শিল্পী মিশেল সিঙ্গারের সঙ্গে রবের পরিচয় হয়। ১৯৮৯ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্রেন্টউডে নিজেদের বাড়িতে বসবাস করছিলেন।