টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমাগরম খবর কী?

ক্ষোভ উগরে দিলেন রিচা

প্রথম সন্তানের জন্মের পর দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন রিচা চাড্ডা। সম্প্রতি কাজের জগতে ফেরার মুখে নিজের জীবনের একেবারে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী। গর্ভাবস্থা এবং তার পরবর্তী সময়ের মানসিক, শারীরিক এবং পেশাগত টানাপড়েনের কথা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে কাটানো কিছু আবেগঘন মুহূর্তও পোস্ট করেছেন তিনি।

নতুন এক পোস্টে রিচা শুধু মাতৃত্বের অনুভূতিই তুলে ধরেননি, একই সঙ্গে চলচ্চিত্র জগতের নেতিবাচক দিক এবং জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের উপর থাকা অদৃশ্য চাপ নিয়েও মুখ খুলেছেন। প্রায় দু’বছর পর কাজে ফেরার আগে নিজের ভিতরের লড়াই এবং হতাশার কথাও অকপটে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

ইনস্টাগ্রামে মেয়ের সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে রিচা লেখেন, ‘রবিবার প্রায় দু’বছর পর আবার কাজে ফিরলাম। ইচ্ছা ছিল আরও আগে ফেরার, কিন্তু তখন আমার শরীর বা মন, কোনওটাই প্রস্তুত ছিল না।’ তিনি জানান, প্রসবের পরের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার পাশাপাশি পেশাগত জীবনে কিছু অপ্রত্যাশিত আচরণের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে।

রিচা অভিযোগ করেন, ইন্ডাস্ট্রির অনেক মানুষই গভীর হীনমন্যতায় ভোগেন। তাঁর কথায়, ‘ওরা কখনও সুখী নয়। ডিমেন্টরের মতো জীবনের সব আনন্দ শুষে নেয়।’ সবচেয়ে কঠিন সময়ে যাঁরা তাঁর প্রতি নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন, তাঁদের প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘হয়তো জীবনে কখনও যথেষ্ট ভালবাসা পায়নি বলেই এমন আচরণ। আমি ক্ষমা করি, কিন্তু কখনও ভুলে যাই না।’

মধুচন্দ্রিমায় সারা-কৃষ

নবদম্পতি সারা খান এবং কৃষ পাঠক বিয়ের পরই রোমান্টিক মধুচন্দ্রিমায় পাড়ি দিয়েছেন থাইল্যান্ডে। আইনি বিয়ের পর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই ছুটির মেজাজে ধরা দিলেন এই তারকা দম্পতি।

মধুচন্দ্রিমা উপভোগের মাঝেই সমাজমাধ্যমে তাঁদের নতুন জীবনের কিছু ঝলক ভাগ করে নিয়েছেন সারা। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি রোম্যান্টিক নিজস্বীতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন সারা এবং কৃষ। একান্ত মুহূর্তে ধরা দিয়েছে তাঁদের সুখী দাম্পত্যের ছবি। আর একটি ছবিতে দেখা যায় শান্ত নীল সমুদ্রের পটভূমিতে দু’জনে মিলে সুস্বাদু সব খাবার উপভোগ করছেন।

এছাড়াও থাইল্যান্ডের সুন্দর রাস্তায় হাতে হাত ধরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে নবদম্পতিকে। কোথাও আবার একে অপরের সঙ্গে রোমান্টিক নাচে মেতেছেন তাঁরা।

ধর্মেন্দ্র পূরণ না-হওয়া ইচ্ছা

হেমা মালিনী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে তাঁর প্রয়াত স্বামী এবং কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর স্মরণে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন। গত ২৪ নভেম্বর ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন ধর্মেন্দ্র। সেই প্রার্থনা সভায় রাজনৈতিক মহল এবং চলচ্চিত্র জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

অনেকে তাঁদের বক্তব্যে ধর্মেন্দ্রকে স্মরণ করে আবেগঘন কথা বলেন। তবে সবচেয়ে বেশি হৃদয় ছুঁয়ে যায় হেমার শ্রদ্ধাঞ্জলি।

প্রার্থনা সভায় মঞ্চে উঠে আবেগে ভেঙে পড়েন হেমা মালিনী। কাঁপা গলায় তিনি বলেন, “আজকের এই প্রার্থনা সভায় আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। কোনও দিন ভাবিনি, জীবনে এমন একটি মুহূর্ত আসবে, যখন আমাকে আমার ‘ধরমজি’-র জন্য প্রার্থনা সভার আয়োজন করতে হবে। গোটা বিশ্ব তাঁর চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ। কিন্তু আমার কাছে এই ক্ষতি অপূরণীয়, এই শোক ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।”

এরপর হেমা ধর্মেন্দ্রর এক অপূর্ণ স্বপ্নের কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, একটি বই লেখার ইচ্ছা ছিল ধর্মেন্দ্রর। কবিতার প্রতি তাঁর সহজাত টান এবং শায়েরির প্রতি ভালবাসার কথাও স্মরণ করেন তিনি। হেমা বলেন, সময়ের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর ব্যক্তিত্বের এক অন্য দিক প্রকাশ পেতে শুরু করে। “যখন ও উর্দু শায়েরি বলতে শুরু করল, তখন বোঝা গেল ওর ভিতরে কতটা গভীর প্রতিভা লুকিয়ে আছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে একটি শের বলে দিতে পারত। এটাই ছিল ওর বিশেষ গুণ,” বলেন হেমা ।

তিনি আরও জানান, বারবার ধর্মেন্দ্রকে বলতেন তাঁর লেখা শায়েরিগুলি নিয়ে একটি বই প্রকাশ করতে। তিনি বলেন, “ওর অনুরাগীরা নিশ্চয়ই খুব খুশি হতেন। ও নিজেও বিষয়টি নিয়ে খুব সিরিয়াস হয়ে উঠেছিল, সব পরিকল্পনাও করছিল। কিন্তু সেই কাজটা আর সম্পূর্ণ করা হয়ে উঠল না।”