নিতেশ তিওয়ারির নতুন ছবি ‘রামায়ণ’ নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটি অন্যতম ব্যয়বহুল প্রযোজনার ছবি। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বড় অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের নিয়ে গঠিত এই ছবির তারকাখচিত কাস্ট দর্শকদের কৌতূহল আরও বাড়িয়েছে। রণবীর কাপুর, সাই পল্লবী, সানি দেওল-সহ আরও অনেক বড় তারকা এখানে অভিনয় করছেন।

লক্ষ্মণের চরিত্রে অভিনয় করা রবি দুবে জানিয়েছেন, এই চরিত্রে যথাযথ অভিনয় করতে তাঁকে নিজের জীবনধারা ও রুটিনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হয়েছে। রবি বলেন, “চরিত্রটি আমাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। দর্শক খুব সহজেই বুঝতে পারেন যখন আপনি সত্যিকারের অনুভূতি দেখাচ্ছেন কি না। তাই রণবীর কাপুর-সহ আমরা সকলেই চরিত্রের প্রতি পূর্ণতা আনার জন্য নিজেদের দৈনন্দিন জীবনেও পরিবর্তন করেছি।”

রবির মতে, রণবীর কাপুর এই ছবির জন্য মদ্যপান এবং মাংস খাওয়া সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “রণবীরের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব ও শক্তি রয়েছে। তিনি শান্ত, বিনয়ী এবং পুরোপুরি কাজের প্রতি নিবেদিত। তাঁর সঙ্গে কাজ করলে যে কেউ তা অনুভব করতে পারে।”

বলিউডে চরিত্রে ডুবে থাকার জন্য অনেক তারকাই জীবনযাত্রায় অস্থায়ী পরিবর্তন আনেন। কিন্তু রণবীর কাপুরের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। তিনি শুধু সিনেমার চরিত্রের জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি সুস্থতা ও মানসিক শান্তির জন্য এই অভ্যাস গড়ে তুলেছেন। ধূমপান ও মদ্যপানের মতো ক্ষতিকর আসক্তি থেকে মুক্ত হয়ে তিনি নিজেকে এক নতুন যাত্রার পথে নিয়ে গেছেন।

রবি আরও জানিয়েছেন, “২৫ বছরের কেরিয়ারে এমন সুশৃঙ্খল সেট আমি আগে দেখিনি। সকলে সময়মতো উপস্থিত হন, প্রস্তুত থাকেন এবং পুরোপুরি পরিচালক নিতেশ তিওয়ারির নির্দেশনা মেনে কাজ করেন। এটি আসলে একটি সত্যিকারের যজ্ঞের মতো।”
‘রামায়ণ’ হবে একটি মাল্টি-পার্ট এপিক। অর্থাৎ এই ছবির একাধিক কিস্তি থাকবে। প্রথম পর্বের মুক্তি ২০২৬ সালের দীপাবলিতে। এবং দ্বিতীয় পর্বের মুক্তি সম্ভবত ২০২৭ সালের দীপাবলিতে।

সূত্রের খবর, ‘রামায়ণ ১’ তৈরি হচ্ছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকায়, যেখানে এই মহাকাব্যের গোটা পৃথিবী তৈরি, সেখানকার অন্তর্গত সব চরিত্র নির্মাণ, চোখ ধাঁধানো ভিএফএক্স, বিশালাকার সব সেট ডিজাইন ইত্যাদি থাকবে। এরপর দ্বিতীয় পর্ব — অর্থাৎ ‘রামায়ণ ২’-এর জন্য ধার্য করা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা, যেখানে মূলত থাকবে চমকে দেওয়ার মতো, ধুন্ধুমার অ্যাকশন সিকোয়েন্স। তবে প্রযোজক নমিত মালহোত্রা গোটা প্রজেক্টকেই দেখছেন একটিই সামগ্রিক একটি বিনিয়োগ হিসাবে।