মাত্র ১০ মাস পেরতেই শেষ হল সান বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পুতুল টিটিপি’। নাচ-গানে সকলকে নিয়ে শেষ দিনে মজা করে শেষ হল এই ধারাবাহিক। তবে মাঝেমধ্যে সকলকে এড়িয়ে চোখের জল মুছতেও দেখা গেল সৈয়দ আরেফিন এবং খেয়ালি মণ্ডলকে। তবে ধারাবাহিকের শেষ দিন এইভাবে পালন করতে এর আগে বোধহয় দেখা যায়নি। কলাকুশলীদের মধ্যে এমন আত্মীয়তার ছবি প্রায় বিরল।
ময়ূখ এবং পুতুলের হাসি মুখ দিয়ে অবশেষে শেষ হবে ‘পুতুল টিটিপি’। শেষ শট দিয়ে চোখ ভিজে এল খেয়ালি এবং আরেফিনের। আরেফিনের কথায়, “আমি এতগুলো ধারাবাহিকে কাজ করেছি, তবে এই ৭ বছরে আমার কাছে এই টিমটাই সেরা। এই ১০ মাস আমরা সকলে এই ভাবে মজা করেই কাজ করেছি। কাল থেকে মানুষগুলোকে আর দেখতে পাব না এটাই সবচেয়ে খারাপ লাগার। নতুন কাজ, চরিত্র সবই হবে, তবে এমন টিম আর পাব কিনা সন্দেহ আছে। এই ধারাবাহিক আমাকে অনেক বন্ধু দিয়েছে, অনেক ভাল মানুষদের সাথে আলাপ করিয়েছে। তাই পরবর্তীতে যত কাজই করি না কেন, পুতুল টিটিপির জায়গা সবসময় আলাদাই থাকবে।”
শেষ শট দিয়েই এত মিশ্র অনুভূতির সাক্ষী হলেন খেয়ালি অর্থাৎ পর্দার পুতুল। তবে মন খারাপ সরিয়ে শেষ দিনের উদযাপনে সকলের সঙ্গে নাচ শুরু করে দিলেন তিনি। কিছুতেই বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছিল না খেয়ালির। তাঁর কথায়, “যেহেতু জানতে পেরেছি ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাচ্ছে, এখনও আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে আগামীকাল থেকে আর কল টাইম পাব না। তবে আমি আজকে বাড়িতে গিয়ে প্রথম দিনের এপিসোড গলো দেখতে শুরু করব, কী দারুণ ছিল সেসব পর্ব। ধারাবাহিক আমার মধ্যে অনেক বদলে এনেছে। এই ধারাবাহিকের জন্য আমি সত্যি নিজের মধ্যে অনেকটা বদল আনতে পেরেছি। আরেফিন সেই ক্ষেত্রে আমার সাহায্য করেছে অনেকটাই। আমি এখন নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, চুপচাপ থেকে পরিস্থিতি বুঝতে শিখেছি। এমন একটা টিম ভবিষ্যতে আর পাব কিনা জানিনা, এই দশ মাস এমন মজা করেই কাজ করেছি আমরা।”
দশ মাস সম্পূর্ণ হওয়ার পরই প্রথমে সময় বদলায় এই ধারাবাহিকের, এরপর হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে প্রথম থেকেই টিআরপি তালিকায় বেশ ভাল জায়গা করে নিয়েছিল পুতুল টিটিপি। গল্পের কেন্দ্রে ছিল এক মা হয়েও নিজের পরিচিতির জন্য নতুন লড়াই, যা বেশ পছন্দ করছিলেন দর্শক। আরেফিন এবং খেয়ালির জুটিকেও দর্শকরা প্রথমবার এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে দেখেন। এই কয়েক মাসে তাঁদের মধ্যে বেশ সুন্দর বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। তবে হঠাৎ করে যে, শেষ হয়ে যেতে পারে ধারাবাহিক, তা দু’জনের মধ্যে ভাবতে পারেননি কেউই। তবে শেষ মানেই নতুন কিছু শুরু, এই নতুন শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই।
