সংবাদসংস্থা মুম্বই: 'এ দিল হ্যায় মুশকিল' ছবির জনপ্রিয় গান ‘চন্না মেরেয়া’ আজও দর্শক-শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে রয়েছে। অরিজিৎ সিং-এর কণ্ঠে এই গানটি মন খারাপের আসুন হিসেবে বেশি পরিচিত। তবে সম্প্রতি এই গানকে ঘিরে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।‌

 


আসলে শুরুতে তৈরি হয়েছিল অন্য এক ছবির জন্য—এমনটাই জানালেন সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘চন্না মেরেয়া’ গানটি প্রথমে তৈরি করা হয়েছিল ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া সলমান খান অভিনীত ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর জন্য।

 

আরও পড়ুন: 'মাস আগে রহস্যমৃত্যু, প্রকাশ্যে এল পাক নায়িকার শেষ ভয়েস নোট! শেষ বার্তায় কী বলেছিলেন হুমায়রা?

 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রীতম বলেন, “চন্না মেরেয়া’র সুর আমি প্রথমে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর জন্য সলমনকে শোনাই। তবে পরে সেটা ছবির আবহে মানানসই মনে হয়নি। তখনই গানটা সরিয়ে রাখা হয়।” তিনি জানান, এরপর করণ জোহরের ‘এ দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবির জন্য যখন গান তৈরির সময় এল, তখনই পুরনো এই সুর আবার মনে পড়ে যায় প্রীতমের। করণ গানটি শুনেই পছন্দ করেন এবং ছবির আবেগঘন মুহূর্তে গানটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন।


‘চন্না মেরেয়া’ গানটি গেয়েছেন অরিজিৎ সিং, এবং অয়ন ও আলিজের (রণবীর কাপুর ও অনুষ্কা শর্মা) চরিত্রগুলির বিচ্ছেদের দৃশ্যে এটি ব্যবহৃত হয়। গানটি মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং আজও বলিউডের অন্যতম হৃদয়স্পর্শী গানের তালিকায় থাকে।

প্রসঙ্গত, প্রীতম বহু বছর ধরেই বলিউডে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে আসছেন। তবে একটি গান যে একাধিক ছবির জন্য ভাবা হতে পারে এবং অবশেষে একেবারে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে সেটি সবচেয়ে উপযুক্ত হয়ে ওঠে—এই ঘটনা ফের একবার সেই বাস্তবতাকেই সামনে নিয়ে এল। সম্প্রতি অনুরাগ বসুর পরিচালনায় 'মেট্রো ইন দিনো' ছবিতে প্রীতমের সুরে  গানগুলোও দর্শকের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। 

 

প্রসঙ্গ, ‘রব্বা ম্যায় তো মার গয়া’, ‘কুক্কড়’, ‘দো ধরি তলোয়ার’, ‘রাধা’, ‘ইসকি উসকি’-র মতো গান শোনা গিয়েছে শাহিদ মাল্যর গলাতে। আর সম্প্রতি তাঁকে বলতে শোনা গেল, কীভাবে তাঁর গাওয়া একটি গান পরবর্তীতে রিজিৎ সিং দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল। 'এ দিল হ্যায় মুশকিল' সিনেমার 'চন্না মেরেয়া' গানটি প্রথম রেকর্ড করেছিলেন তিনিই। তবে প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে, সুরকার প্রীতমের কাছ থেকে একটি ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। জানানো হয়েছিল, প্রযোজনা দলের সিদ্ধান্তের কারণে অরিজিৎ সিং গানটি গাইছেন। দুই বছর ধরে এই গানের জন্য তাঁর হৃদয় ও আত্মা ঢেলে দেওয়ার পর, শেষ মুহূর্তে এসে বাদ পড়া, তাঁকে গভীরভাবে আঘাত দিয়েছিল। 

 

এক সাক্ষাৎকারে শাহিদকে বলতে শোনা যায়, "আমি গানটিতে হৃদয় এবং আত্মা দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখা গেল গানের সঙ্গেই আর থাকা হল না। একটাই স্বান্তনা যে, সুরেলা কোনও মানুষ সেই গানটি গেয়েছেন। অরিজিৎ ছাড়া অন্য কেউ গাইলে, হয়তো আরও বেসি খারাপ লাগত।" সঙ্গে তাঁকে এও বলতে শোনা গেল, একসময় ‘রাব্বা মে তো মার গয়া’ গানের জন্য, রাহাত ফতেহ আলি খানকে প্রতিস্থাপন করেছিলেন তিনি। তাই খুব সহজে বুঝতে পেরেছিলেন, এটাই ইন্ডাস্ট্রির ট্রেন্ড।