সংবাদদাতা মুম্বই: একসময় বলিপাড়ায় তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল। যশ চোপড়া থেকে করণ জোহর, একের পর এক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। একাধিক হিট ছবিতে তাঁর নায়ক ছিলেন সইফ আলি খান। দীর্ঘদিনের সেই সহঅভিনেতার প্রতি বেজায় রেগে প্রীতি জিন্টা। তাই কিডন্যাপ হলে কখনওই সইফকে ফোন করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। 

কেনই বা সইফের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রীতি? করণ জোহরের সামনে নিজের মুখেই সেই কারণ জানান ‘সালাম নমস্তে’র অভিনেত্রী। প্রকাশ্যে তিনি বলেন, “বিপদে পড়লে আর যাই হোক সইফকে ফোন করব না।” ‘কফি উইথ করণ’ শোয়ের দ্বিতীয় সিজনে ববি দেওয়ালের সঙ্গে অতিথি হয়ে এসেছিলেন প্রীতি জিন্টা। সেখানেই র্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে সঞ্চালক করণ ‘বীর-জারা’র অভিনেত্রীকে এমন একজনের নাম জিজ্ঞেস করেন যাকে কিডন্যাপ হলে তিনি কখনওই ফোন করবেন না। জবাবে প্রীতি সইফের নাম বলেন। অভিনেত্রীর উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে করণ ও ববি।
 
এরপরই তাঁর সইফের প্রতি রাগের কারণ জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ২০০৪ সালে তিনি ফুকেটে শুটিংয়ে গিয়ে ভয়ঙ্কর সুনামিতে আটকে পড়েছিলেন। সেই সময়ে ‘বন্ধু’ সইফকে ম্যাসেজে প্রীতি জানান, “আমি সুনামির মধ্যে রয়েছি। জীবনের সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা হচ্ছে।” উত্তরে সইফ বলেছিলেন, “জলের মধ্যে আছো নাকি অন্য কিছুতে...”  নিজের বিপদের সময়ে ‘হাম তুম’-এর নায়কের মজার টেক্সট দেখে চমকে গিয়েছিলেন প্রীতি। 

সালাম নমস্তে’ থেকে ‘কাল হো না হো’, ‘কেয়া কহেনা’, ‘দিল চাহাতা হ্যায়’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতেও একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন প্রীতি-সইফ। কিন্তু সহঅভিনেতার ওই একটি আচরণ ভুলতে পারেননি প্রীতি জিন্টা। তাই তো করণকে বেশ গম্ভীর গলাতেই অভিনেত্রী বলেন, “সইফ আমার কিডন্যাপের খবর পেলে হয়েতো বলবে, মিথ্যে কথা বলো না, আমি শুটিং-এ আছি অথবা এরকমই কিছু একটা..।”