চলতি বছরের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সঞ্চালনার গুরুভার সামলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তবে এদিন অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিল ফেডারেশন। তারপরই শুরু হয় জল্পনা। তবে কি অভিনেতার সঙ্গে সংঘাতের কারণেই তাঁরা কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসেননি? সেই প্রসঙ্গে এদিন অভিনেতা এবং ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করলে কী জানা গেল?
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় রবিবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বলেন তাঁর এবং ফেডারেশনের সংঘাত প্রসঙ্গে। অভিনেতা বলেন, ''বাকিদের হয়ে কথা বলতে পারব না। আমি আমার কথাটাই বলতে পারি। আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি, ঝগড়াঝাঁটি যা হচ্ছিল না কেন, আমি বিশ্বাস করি.... আমি আগেও বারবার বলেছি, গত কয়েকদিন ধরে বারবার বলে চলেছি, আমি আশাবাদী যে আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সেটা মিটবে। আমি আর আইনি পদ্ধতিতে বা আইনি পন্থায় এই মুহূর্তে নেই। আগামীতেও থাকব না। আমি মনে করি আমাদের মধ্যে যে মনোমালিন্য বা সমস্যা রয়েছে, সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হবে।"
তবে তাঁর জন্যই কি ফেডারেশন এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল তথা কিফে গরহাজির? এই জল্পনার প্রসঙ্গ উঠতেই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সাফ জবাব, "আমি সত্যি সত্যিই ফেস্টিভ্যালে ফেডারেশনের কারও বা মাননীয় সভাপতির থাকা না থাকার ব্যাপারটা একদম জানি না। আপনাদের দৌলতে গতকাল রাতে আমার কানে ব্যাপারটা পৌঁছেছে। এর বাইরে এই বিষয়টা নিয়ে আমি একেবারেই অবহিত নই। আমাকে সরকারের তরফে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করতে বলা হয়েছিল, যেটা আমি মনে করি আমার জন্য একটা বড় সম্মান। বহু বছর ধরে এই কাজটি করছি। সাধারণত এটা যিশু (অভিনেতা, যিশু সেনগুপ্ত), জুন (অভিনেত্রী জুন মালিয়া) এবং আমার মধ্যেই থাকে, মানে সঞ্চালনার দায়িত্বটা। যখন আমি কলকাতায় থাকি না, তখন অন্য কেউ করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর এই চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে আমার যোগাযোগ বহু পুরনো। আমার যখন ১৮ বছর বয়স সেই সময় থেকে সিনেমা দেখতে আসি। সিনেমা দেখতে এসে ছোটখাটো কিছু দায়িত্ব যদি থেকে থাকে, সেটা পালন করে থাকি। স্বেচ্ছায় আমি সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই, এবারও তাই করছি।"
এই বিষয়ে আজকাল ডট ইন এর তরফে স্বরূপ বিশ্বাসকে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
