‘পঞ্চায়েত’ সিরিজের জনপ্রিয় অভিনেতা আসিফ খানকে আচমকা হাসপাতালে ভর্তি হতে হওয়ায় চিন্তার ছায়া নেমেছিল অনুরাগীদের মনে। শোনা গিয়েছিল, হৃদরোগ আক্রান্ত অভিনেতা! এরপরই শুরু হয় জল্পনা। তবে সব জল্পনায় ইতি টেনে নিজেই মুখ খুললেন আসিফ। বললেন, “প্রথমেই একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিতে চাই— এটা হার্ট অ্যাটাক ছিল না। আমার হয়েছে গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD)। এর উপসর্গ হৃদরোগের মতোই লাগছিল, কিন্তু আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ।” সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এইভাবেই নিজের শারীরিক অবস্থা ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

 

ঘটনা হয়েছিল দিনভর রাজস্থান থেকে মুম্বইয়ে  দীর্ঘ ড্রাইভ করে ফেরার পর। সন্ধের দিকে বুকে যন্ত্রণা তীব্র অনুভব করেন আসিফ। পরে বাথরুমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানান, সমস্যা গুরুতর না হলেও তাঁকে খাদ্যাভ্যাসে বড় পরিবর্তন আনতে হবে।  তেল মশলা-মাখানো খাবার থেকে বিরতি নিতে হবে অভিনেতাকে, সঙ্গে কম মাংস খাওয়া। তা মানার পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শে রোজকার শরীরচর্চার দিকেই এখন নজর দিচ্ছেন এই অভিনেতা।

 

তবে এই সংকটের মধ্যেও একটি ‘পজিটিভ ব্রেক’ পেয়েছেন আসিফ। জানালেন, “মোবাইল থেকে দূরে ছিলাম। দারুণ একটা ফিলিং ছিল। এত মেসেজ পেয়েছি যে, সবাইকে রিপ্লাই করতে এক মাস লেগে যাবে। এত ভালবাসা পাব, ভাবিনি। খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।”

 

অবশ্য হাসপাতালে শুয়ে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসিফ পোস্ট করেছিলেন এক বার্তা — “গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে একটা কথাই মনে হচ্ছে। জীবন সত্যিই খুব ছোট। প্রতিটি দিনকে গুরুত্ব দাও। এক মুহূর্তে সবকিছু বদলে যেতে পারে। যাঁরা তোমার সবচেয়ে কাছের, তাঁদের সবসময় মনে রেখো। জীবন একটা আশীর্বাদ— আর আমরা সবাই ভাগ্যবান।”

 

 

 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বিখ্যাত ওয়েব সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’-এর চতুর্থ সিজন। সচিবজি, বিনোদ, প্রধান-জি, রিঙ্কি চরিত্রগুলিকে ঘিরে বিভিন্ন পোস্টে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এরই মধ্যে আরও একটি পোস্ট রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক ব্যক্তি সম্প্রতি গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজের শুটিং লোকেশনে। সেই জায়গার বিভিন্ন ছবি তিনি তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে কৌতুহল বেড়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। সাধারণ মানুষ ‘ফুলেরা’ গ্রামকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন। পঞ্চায়েত অফিস, ট্যাঙ্কি, সেই রাস্তা, শিবমন্দির সবকিছু নিয়েই পঞ্চায়েত জায়গা করে নিয়েছে মানুষের মনে।

 

তার মধ্যেই এই লোকেশনের কথা জানতে পেরেই অনেকেই পরিকল্পনা করছেন ঘুরে আসার। ওয়েব সিরিজে দেখানো হয়েছে যে ফুলেরা উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। কিন্তু বাস্তবের শুটিং লোকেশন আদৌ উত্তরপ্রদেশ নয়। বাস্তবের ‘ফুলেরা’ হল মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলার মাহোদিয়া গ্রাম। ইন্দোর থেকে এই গ্রামটি গাড়িতে প্রায় সাড়ি তিন ঘণ্টার রাস্তা। দূরত্ব প্রায় ১৫৪ কিলোমিটার। শুভেন্দু নামে এক ব্যক্তি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। মজার বিষয় হল, তিনি আদৌ ওয়েব সিরিজই দেখেন না। তিনিই মজার ছলে মাহোদিয়া গ্রামে পৌঁছে নানা জায়গার ছবি তুলে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে ওঠে।