সংবাদ সংস্থা মুম্বই: দীপিকা পাড়ুকোন থেকে ক্যাটরিনা কইফ—কে ছিল না সেই ক্যালেন্ডারে? কিংফিশার ক্যালেন্ডার মানেই ছিল গ্ল্যামার, সাহস আর ভবিষ্যতের বলিউড তারকার আভাস। সম্প্রতি এক দীর্ঘ পডকাস্টে সেই কালজয়ী ক্যালেন্ডার নিয়ে মুখ খুললেন বিতর্কিত শিল্পপতি বিজয় মালিয়া। ফাঁস করলেন ক্যালেন্ডারের আড়ালে লুকিয়ে থাকা তাঁর স্বপ্নের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।“আমরা ঠিক মেয়েদেরই বেছে নিয়েছিলাম,”—সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি মাল্যর। বললেন, “দীপিকা হোক বা ক্যাটরিনা—সবাই আমাদের ক্যালেন্ডারে ছিল, তারা তখনই ছিল স্টার ম্যাটেরিয়াল।”

 

বিজেপি সাংসদ ও শিল্পপতি থেকে পরবর্তীকালে ঋণখেলাপি ও বিতর্কে জড়ানো বিজয় মাল্য, একসময় ছিলেন কর্পোরেট জগতের গ্ল্যামার আইকন। আর সেই ব্র্যান্ড বিল্ডিংয়ের অন্যতম হাতিয়ার ছিল কিংফিশার ক্যালেন্ডার, যা শুরু হয় ২০০৩ সালে, বিখ্যাত ফ্যাশন ফটোগ্রাফার অতুল কাসবেকরের ক্যামেরায়।

 

তবে ক্যালেন্ডার নিয়ে ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ ছিল না বলেই দাবি বিজয় মালিয়ার। বললেন, “আমি এটা করেছিলাম শুধুমাত্র ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য। এতে আমার কোনও ব্যক্তিগত লাভ ছিল না। কিন্তু ব্র্যান্ড কিংফিশারের জন্য এটা ছিল দুর্দান্ত মার্কেটিংয়ের অস্ত্র।”

 

বিভিন্ন সময় ক্যালেন্ডারে থাকা মডেলদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে উঠেছিল নানা গুজব। কিন্তু সে জল্পনাও উড়িয়ে দিলেন মাল্য। বললেন, “ মডেলরা সম্পূর্ণ ক্যালেন্ডারের জন্যই ছিল, এর বাইরে কিছু নয়।”

 

তবে শুধু ক্যামেরার ফ্রেমেই আটকে থাকেননি সেই মডেলরা। দীপিকা পাড়ুকোনকে ২০০৬ সালের ক্যালেন্ডারেই দেখে নিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি, ঠিক যেমন ক্যাটরিনাকে ২০০৩ সালে। এরাই পরে বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা হন।

 

এমনই ছিল এই ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব যে সেটার ছায়া পড়ে ২০১৫ সালে মধুর ভান্ডারকরের ছবি ‘ক্যালেন্ডার গার্লস’-এও। যেখানে দেখানো হয়, কীভাবে গ্ল্যামার ও গ্লোরির মোড়কে একাধিক তরুণী মডেল খুঁজে পায় তারকা হবার রাস্তা, আর কখনও কখনও ডুবে যায় অন্ধকারে।