সংবাদসংস্থা মুম্বই: সইফ আলি খানের উপর হামলার মামলায় মুম্বই পুলিশ সম্প্রতি বান্দ্রার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই চার্জশিট থেকে ঘটনার রাতের পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়েছে। বিশেষ করে সেই রাতে করিনা কাপুর কোথায় ছিলেন এবং সইফের কী অবস্থা ছিল, তা চার্জশিটে স্পষ্টভাবে লেখা। এতে ১১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং ৪৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। যার মধ্যে করিনা কাপুরের বিবৃতিও রয়েছে।

 


সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার আগের দিন, অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত সইফের বাসভবনে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। সিসিটিভ ফুটেজ বলছে, ভিতরে প্রবেশ না করলেও শরিফুলকে সদ্‌গুরু বাসভবনের আশপাশে দেখা গিয়েছিল। বিকেল ৩টে থেকে সন্ধে ৬.৪৫ মিনিট পর্যন্ত রেকি চালান। সন্ধে ৬.৫৯ মিনিটে তাঁকে ভারতী ভিলা ভবনে উঠতে দেখা যায়। পরে ভারতী অ্যাভিনিউ হয়ে সইফের বাড়িতে পা রাখেন।

 


সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি হঠাৎ পাতৌদি পরিবারে‌ ঢুকে পড়েন। করিনা তখন বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে প্রথমে তাঁর বড়ছেলে তৈমুরের ঘরে যান। তাকে দেখে তিনি যান ছোট ছেলে জেহর ঘরে। দেখেন সে ঘুমোচ্ছে। তার আয়া বিছানার কাছে শুয়ে। করিনা এরপর নিজের ঘরে আসেন। তিনি এবং সইফ যখন ঘুমোতে যাবেন তখনই জেহর আয়া ছুটে এসে জানান, এক অপরিচিত ব্যক্তি ঘরে ঢুকে পড়েছেন। ভয় দেখিয়ে টাকা চাইছেন।

 

 

করিনা এবং সইফ দ্রুত ছোটছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন, কালো টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি জেহর বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন, হাতে ধারালো অস্ত্র। ছেলেকে বাঁচাতে সইফ লোকটিকে বাধা দিতে গেলে তাঁকে ছুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। সদ্য পেশ করা চার্জশিট বলছে, ঘটনার অনুপাতে সইফ ও করিনার বয়ান প্রায় এক। 

 


প্রসঙ্গত, এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শাহজাদ কোনও অপরাধ করেননি বলে আদালতে দাবি করেছেন। জামিনের আবেদন দাখিল করে অভিযুক্ত বলেছেন যে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেবল ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্তর জামিনের আর্জি খারিজ করেছে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।