রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’ বর্তমানে বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে। ৫ ডিসেম্বর মুক্তির পর দ্বিতীয় সপ্তাহেও ছবিটির সাফল্যোর দৌড় অব্যাহত। টানা কিছু মাঝারি মানের ছবির পর এই প্রোজেক্টটিকে রণবীরের প্রত্যাবর্তন হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কেন তাঁর স্ত্রী এবং বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন প্রকাশ্যে ছবিটির প্রতি খুব বেশি সমর্থন দেখাচ্ছেন না।
বলিউড দম্পতিদের প্রায়ই একে অপরের কাজের প্রশংসা করতে দেখা যায়। অনেক সময় নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও সঙ্গীর ছবির প্রচার করেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে দীপিকা কেন ‘ধুরন্ধর’-এর প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে খুব একটা কিছু বলছেন না, তা নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকে দাবি করছেন, তিনি নাকি একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিও শেয়ার করেননি।
এক্স-এ এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘ভারতের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্কতা প্রচারের অ্যাম্বাসাডর দীপিকা পাড়ুকোন কি ‘ধুরন্ধর’ নিয়ে কিছু পোস্ট করেছেন? একটা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিও নয়। ছবির কথা বাদ দিন, স্বামীর অভিনয়ের কথা নিয়েও কিছু নেই! নাকি আমি-ই সব মিস করছি?’

তবে এই দাবি খতিয়ে দেখে অনেকেই জানান, দীপিকা আসলে ছবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে অনেকে তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরির স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যেখানে লেখা— ‘ভারত মাতা কি জয়!’ সঙ্গে রয়েছে #ধুরন্ধর এবং জাতীয় পতাকার স্টিকার।
— Rakesh Sharma (@iamrkRakesh)Tweet by @iamrkRakesh
এছাড়াও, ৫ ডিসেম্বর, ছবির মুক্তির দিন দীপিকা আরও একটি স্টোরি পোস্ট করে টিমের প্রশংসা করেন এবং রণবীরের অভিনয়কে কুর্নিশ জানান। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ধুরন্ধর’ দেখে ফেললাম, আর ৩ঘণ্টা ৩৬ মিনিটের প্রতিটা মুহূর্ত সত্যিই উপভোগ্য। নিজেকে এই ছবি দেখার সুযোগ উপহার দিন— এখনই হলে গিয়ে দেখে ফেলুন! তোমার জন্য খুবই গর্বিত, রণবীর সিং।” শেষে ছিল একটি চুমুর ইমোজি।
Get a life, please 🙏🏻 pic.twitter.com/BbqnwjEa17
— MALAK 🇪🇬 (@MalakWa44913944)Tweet by @MalakWa44913944
তিনি ছবির গোটা দলকেও অভিনন্দন জানান। ফলে, অভিনেত্রী ছবির প্রচারে কোনও ভূমিকা রাখছেন না— এমন দাবি যে বাস্তবসম্মত নয়, তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।
আদিত্য ধর পরিচালিত এই ছবির স্টারকাস্ট, বিষয়বস্তু এবং ব্যাপ্তির কারণে শুরু থেকেই ছিল তীব্র কৌতূহল। এবং সঙ্গে বিতর্কও। বড়পর্দায় নামার সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে ‘ধুরন্ধর’।যদিও দিনের শুরুতে পরিস্থিতি খুব একটা ভাল ছিল না। সকাল ও দুপুরের শো-তে দর্শক সংখ্যা ছিল মাঝারি। অনেকেই ভাবছিলেন, হয়তো ছবিটি খুব বড় ওপেনিং পাবে না। কিন্তু মুক্তির দিন দুপুরের পরই বদলে যায় ছবির ভাগ্য। যারা প্রথম শো দেখেছিলেন, তাদেঁর ভাল রিভিউ এবং সমাজমাধ্যমে প্রশংসা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সন্ধ্যা এবং রাতের শোয়ে ভিড় বাড়তে শুরু করে। অনেক জায়গায় রাতের শো হাউসফুল হয়ে যায়। দিন শেষে মোট আয় গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ কোটির কাছাকাছি। ছ’দিনের মাথায় এই ছবির আয় বিশ্বব্যাপী ২৭০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
