নিজস্ব সংবাদদাতা, মুম্বই: আইপিএলের সময়ে কেরিয়ারের টালমাটালের মাঝেই সম্পর্কের টানাপোড়েনে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষমেশ গত জুলাইয়ে সম্পর্কে ইতি টানেন হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং নাতাশা স্ট্যানকোভিচ। ঠিক কী কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন হার্দিক ও নাতাশা দু'জনেই। এতদিনে সেই বিচ্ছেদের কারণই ফাঁস করলেন নাতাশা!
হার্দিকের সংসার ছাড়ার পরই ছেলে অগস্ত্যকে নিয়ে সার্বিয়া চলে যান নাতাশা। কেন এই ‘পাওয়ার কাপল’-এর সম্পর্ক টিকল না তা নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করে এসেছেন নেটাগরিকরা। কিন্তু স্পষ্টভাবে কখনওই কিছু জানা যায়নি। অবশেষে হার্দিক ও নাতাশার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত বিচ্ছেদের কারণ জানা গিয়েছে।
নাতাশার এক ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হার্দিক খুবই আত্মকেন্দ্রিক মানুষ। নিজের কথা ছাড়া তিনি নাকি আর কিছুই ভাবতে পারেন না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেছেন নাতাশা। বহু বার তিনি নাকি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষে আর পারেননি। এমনকী, নাতাশা সেই ঘনিষ্ঠ সূত্রকে আরও জানিয়েছেন, হার্দিক নিজের জগৎ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতেন। স্ত্রী সন্তানকে সময়ও দিতেন না। সময়ের সঙ্গে নাতাশা বুঝতে পারেন যে মানুষ হিসাবে হার্দিক এবং তিনি একেবারে আলাদা। তাই একটা সময় পর বাধ্য হয়েই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন।”
বেশ কয়েক মাস আগে ইনস্টাগ্রাম থেকে ‘পাণ্ডিয়া’ পদবি সরিয়ে দেন নাতাশা। হার্দিক এবং নাতাশা ইনস্টাগ্রাম থেকে তাঁদের বিয়ের ছবি আগেই সরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ছেলে অগস্ত্যের সঙ্গে ছবি ছিল। তখনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল হার্দিকদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে। শেষে বিয়ের চার বছরের মাথায় গত ১৮ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করেন হার্দিক ও নাতাশা। তবে ছেলে অগস্ত্যকে একসঙ্গে বড় করবেন, এমনটা জানান তাঁরা।
এদিকে নাতাশার সঙ্গে বিচ্ছেদ হতে না হতেই হার্দিকের সঙ্গে নাম জড়ায় অনন্যা পাণ্ডের নাম। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে দুজনকে ছন্দ মিলিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে। সোশাল মিডিয়াতেও একে অপরকে ফলো করতে শুরু করেছেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে আরেক নারীর ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসে। ইংল্যান্ডের এসেক্সে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের জসমিন ওয়ালিয়ার সঙ্গে নাকি ‘মাখো মাখো’ প্রেমে ভাসছেন ক্রিকেটার!
