শীঘ্রই ছাদনাতলায় যাচ্ছেন জাদু সম্রাট পিসি সরকারের মেজ মেয়ে মৌবনী সরকার। সদ্যই অনুষ্ঠিত হল অভিনেত্রীর আইবুড়োভাতের অনুষ্ঠান। তারপর এদিন একটি অদেখা পারিবারিক ছবি ভাগ করে নিলেন মুমতাজ সরকার।
দিদি মৌবনী সরকারের আইবুড়োভাতের একটি ছবি রবিবার বিকেলে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অভিনেত্রী মুমতাজ সরকার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাবা মাকে দুই পাশে নিয়ে সোফায় বসে আছেন মৌবনী। তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর দিদি মানেকা। আর সামনে বসে রয়েছেন মুমতাজ। রয়েছে তাদের পোষ্যও। এই ছবিটি পোস্ট করে মুমতাজ লেখেন, 'আমার আশীর্বাদ...'
প্রসঙ্গত, আইবুড়োভাতের দিন মৌবনী সরকার বেগুনি রঙের একটি শাড়ি পরেছিলেন। সঙ্গে কন্ট্রাস্টে সবুজ রঙের ব্লাউজ। সোনার গয়না, ফুলের মালায় সেজেছিলেন অভিনেত্রী। এদিন তাঁর আইবুড়োভাতের মেনুতে ছিল ভাত, পাঁচ রকমের ভাজা, ডাল, ধোকার ডালনা, মাছ, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। এদিন অভিনেত্রীর বাবা মা তাঁকে আশীর্বাদ করেন। সেই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মৌবনী।
জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়বেন মৌবনী সরকার। তাঁর বিয়ের কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। সেই কার্ডের উপর পটচিত্রে বর কনের প্রতিকৃতি রয়েছে। ভিতরের রয়েছে পরিচয় পত্র। মৌবনী সরকারের হবু বরের নাম সৌম্য রায়। তাঁর বাড়ি চন্দননগরে।
গত বছরের নভেম্বরে রটে যায় পিসি সরকার তাঁর তিন কন্যার জন্য পাত্র খুঁজছেন। রীতিমত খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে তিন মেয়ের পাত্র খোঁজেন জাদু সম্রাট। কী লেখা ছিল সেই ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপনে? “জাদুশিল্পী পিসি সরকার জুনিয়র এবং জয়শ্রী সরকারের কন্যাদের জন্য জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ৩৮-৪৫ উপযুক্ত সুদর্শন, দীর্ঘাঙ্গ, সুপ্রতিষ্ঠিত পাত্র চাই।” এই বিষয়ে পিসি সরকার আজকাল ডট ইন-কে জানিয়েছিলেন, "দেখুন, আমার এবং জয়শ্রীর প্রেম করে বিয়ে। বাবা-মায়েরও ওকে খুব পছন্দ ছিল। তিন মেয়েকে আমরা বলেছিলাম, তোমরা নিজেরা দেখে শুনে নিজেদের জন্য পাত্র নির্বাচন করো, আমরা শেষে দেখে টেখে নেব। বহুবার বলেছি। মেয়েদের সব শিক্ষা দিতে পেরেছি, কিন্তু প্রেমটা শেখাতে পারিনি। ওদের দাবি, যেসব ছেলে তাদের চোখে পড়েছে তাদের মধ্যে পৌরুষের বেজায় অভাব! অগত্যা আমাদের উপর দায় বর্তিয়েছে ওরা। আমিও ভাবলাম, সমাজকে তো সারাজীবন ম্যাজিক দেখিয়েছি, এবার সমাজ যদি আমার তিন মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজে দিয়ে একটা ম্যাজিক দেখায়!”
