নিজস্ব সংবাদদাতা: পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ওপর ফেডারেশানে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। পরিচালক থেকে অভিনেতারা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 'ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র তরফে বৃহস্পতিবার আলোচনা করা হল এই বিষয়ে। ঠিক কী হল ওই আলোচনায়?

যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ 'ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি সুদেষ্ণা রায় এবং সেক্রেটারি সুব্রত সেন। কিন্তু ঘনিষ্ট সূত্রে খবর, রাহুলের ছবিতে তাঁকে ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারের ভূমিকায় নয়, পরিচালকের ভূমিকায় থাকতে দিতে হবে। নয়তো ছবিটাই যেন বন্ধ হয়ে যায়। এই দাবিতে অনড় টলিউডের পরিচালকরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, তথাগত মুখোপাধ্যায় সহ প্রমুখ। এদিন তাঁরা দাবি জানান, তাঁদের আর্জি যদি ফেডারেশন না মেনে নেন তাহলে ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত এই পরিচালকরা ইস্তফা দেবেন।

প্রসঙ্গত, টলিপাড়ার পরিচালকদের সংগঠন 'ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’-র তরফে পরিচালনা করা থেকে আগামী তিন মাস বরখাস্ত করা হয়েছিল পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছিল শুধু পরিচালনা নয় এই 'সাময়িক কর্মবিরতি'র সময়কালের মধ্যে শুটিং সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকতে পারবেন না রাহুল। 'ডিএইআই'র তরফে জানানো হয়েছিল, সংগঠনের নিয়ম ভেঙে বাংলাদেশে গিয়ে সে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম 'চরকি'র জন্য একটি ছবির শুটিং করেছিলেন রাহুল। সেই কারণেই তাঁর আসন্ন ছবিতে তাঁর বদলে সৌমিক হালদার পরিচালনা করার কথা ছিল আর ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারের ভূমিকায় থাকার কথা ছিল রাহুলের। যদিও এই মিটিংয়ে রাহুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমস্ত বিধি মেনেই তিনি শুটিং করেছিলেন এবং ফেডারেশনকে ধার্য্য মূল্যও তিনি দিয়েছিলেন। তবুও তাঁর সঙ্গে অবিবেচনা করা হয়েছে।

বাংলা পরিচালকদের একজোট হয়ে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে তাকেই পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার এই দাবিতে কি মঞ্জুর করবে ফেডারেশন? নাকি রাহুলের উপর নেমে আসবে আরও কড়া কোনও সিদ্ধান্ত? ফেডারেশনের সঙ্গে সুদেষ্ণা রায় ও সুব্রত সেনের মিটিংয়ে জানা যাবে সেই উত্তর। এই মুহূর্তে তারই অপেক্ষায় গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।