ইঙ্কাকে দোষী প্রমাণ করতে গিয়ে নিজের জীবন বাজি লাগাল ঝাঁপি। অন্যদিকে স্ত্রীকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বাড়ির অমতে গিয়ে বড় কাণ্ড ঘটিয়ে বসল দীপ। কী করল সে?
ঝাঁপি দীপ কাছাকাছি আসতেই তাদের দূরে সরানোর ফন্দি আঁটে ইঙ্কা। দীপ ঝাঁপিকে নিয়েই কলকাতার মিটিংয়ে যেতে চাইলে তাতে বাধা দেয় নায়কের মা। শাশুড়ির কথা শুনে থেকে যায় ঝাঁপি। আর সেই মিটিংয়ে দীপের সঙ্গে যায় ইঙ্কা। কলকাতায় গিয়েই দীপকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ভান করে যেন তারা দুজন ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এরপরই দাবি করতে থাকে দীপকে তাকে বিয়ে করতে হবে। দীপ এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না, ঝাঁপি তো স্বামীর নামে এই অভিযোগ বিশ্বাসই করে না। যদিও দীপের মায়ের চক্রান্তের জেরে ইঙ্কা দীপের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা ভেস্তে দেয় ঝাঁপি। এরপরই প্রতিশোধ নিতে চায় ইঙ্কা। দেখায় ওষুধ খেয়ে নাকি সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনল ঝাঁপি!
সদ্য চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে যে প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে দীপকে ঝাঁপি বলছে যে সে প্রমাণ করে দেবে এই ওষুধ খেয়ে ইঙ্কা অসুস্থ হয়নি। বলে নিজেই একগুচ্ছ ওষুধ খেয়ে নেয়। আর তারপরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চলে যমে মানুষে টানাটানি। সেই সময়ই ইঙ্কা অসুস্থ ঝাঁপিকে দেখতে এসে জানায় যে সে ওষুধ বদলে দিয়েছে।
ওদিকে স্ত্রীকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি লাগায় দীপ। ১০০ ঘড়া জল শিবের মাথায় ঢালবে বলে পণ করে স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য। এরপর কী হয় সেটাই দেখার। ঝাঁপি সুস্থ হয়ে ফেরে, নাকি দীপ ওকে বাঁচাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেটা আগামীতে বোঝা যাবে। তবে এটুকু স্পষ্ট যে এই ধারাবাহিকের গল্পে বড়সড় চমক আসতে চলেছে।
'লক্ষ্মী ঝাঁপি' বর্তমানে টিআরপি তালিকায় বেশ ভালই ফল করছে। সেরা ১০ এ নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। এই ধারাবাহিকটি রোজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সম্প্রচারিত হয়। এই বিশেষ পর্ব ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখানো হবে। প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকের হাত ধরে দীর্ঘদিন পর ছোটপর্দায় ফিরেছেন সৌরভ চক্রবর্তী। মাঝে তিনি মূলত পরিচালনা এবং লেখালিখির দিকেই মন দিয়েছিলেন।
