সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় সইফ আলি খানের বহুতল আবাসনে হামলা দুষ্কৃতীর। তাদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি-তারকার। সেই সময় সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে, এমনই জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, সইফকে দু’তিনবার কোপায় দুষ্কৃতী। তার পর সে পালায়। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে। দুষ্কৃতী পালিয়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সইফকে। এইমুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুরু হয়েছে জোর পুলিশি তদন্ত। 

 

পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন ওই ঘটনার সময় সইফের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী করিনা, দুই সন্তান এবং দু'জন গৃহ পরিচারক উপস্থিত ছিল ফ্ল্যাটে। এখনও পর্যন্ত যে কোনও ব্যক্তিকে আটক করা হয়নি, সেকথাও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে গত কয়েকদিন ধরে সইফ-করিনার বাড়িতে মেঝে পালিশের কাজ চলছিল। সেই সুবাদে অভিনেতার ফ্ল্যাটে মানুষজনের যাতায়াত চলছিল। মেঝে পালিশের কাজে যুক্ত ছিলেন যাঁরা, তাঁদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। আরও জানা গিয়েছে, সইফের আবাসন ও ফ্ল্যাটের সিসিটিভির ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখেও কোনও ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করা যায়নি। এর অর্থ পরিষ্কার। দুষ্কৃতী অত্যন্ত সচেতন ছিল সমস্ত সিসিটিভির অবস্থান সম্পর্কে।  পুলিশ সূত্রের খবর, যেভাবে গোটা বিষয়টি ঘটেছে তাতে সন্দেহ করা হচ্ছে সইফ-করিনার আবাসন অথবা ফ্ল্যাটের কোনও ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব নয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ডাকাতি করতেই সইফের ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ওই দুষ্কৃতী। 

 

এইমুহূর্তে সইফ-করিনার আবাসনে পৌঁছে গিয়েছে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার সদস্যরা। এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েককে দেখা গিয়েছে সইফের বাড়ির নীচে। পুলিশের ডগ স্কোয়াডের স্নিফার ডগ-দেরও একটি টিম পৌঁছে গিয়েছে। রয়েছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।