গায়ক কুমার শানুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যকে নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গায়ক তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। তবে এই মামলার ক্ষতিপূরণের অঙ্ক শুনে চক্ষু চড়কগাছ অনেকেরই। রীতার দাবি অনুযায়ী, কুমার শানু তাঁর কাছে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

 

দীর্ঘ ৩১ বছর পর কেন হঠাৎ এই বিবাদ? এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রীতা। তিনি জানান, কুমার শানুর সঙ্গে তাঁর বা তাঁর সন্তানদের কোনও যোগাযোগ নেই। গায়ক তাঁদের ফোন নম্বর ব্লক করে রেখেছেন। দীর্ঘ কয়েক দশক কোনও সম্পর্ক না থাকার পর হঠাৎ এই আইনি পদক্ষেপকে 'হয়রানি' হিসেবেই দেখছেন তিনি। রীতা বলেন, "আমি স্তম্ভিত। যে স্ত্রী তাঁর তিন সন্তানকে বড় করল, আজ তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা করছেন তিনি। আমি জানি না উনি কীভাবে ভাবলেন আমার কাছে ৫০ কোটি টাকা আছে!"

 

এই বিতর্কের সূত্রপাত মূলত 'বিগ বস' খ্যাত অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দের এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। কুনিকা সম্প্রতি গায়কের সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতা ও তাঁর ছেলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। কিন্তু রীতার প্রশ্ন, কুনিকা কথা বলা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের লক্ষ্য করা হচ্ছে? তাঁর মতে, অন্য কেউ কথা বললে গায়ক চুপ থাকছেন, কিন্তু পরিবারের ওপর চড়াও হচ্ছেন।

 

রীতা ভট্টাচার্য আরও জানিয়েছেন, এই আইনি লড়াই তাঁর সন্তানদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। এই বয়সে এসে সন্তানদের সামনে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া তাঁর কাছে চরম লজ্জার। রীতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "যখন আমি সন্তানসম্ভবা, তখন উনি আমাকে প্রথমবার আদালতে টেনেছিলেন। আর আজ ৬৩ বছর বয়সে এসে আবার আমাকে আদালতের চক্কর কাটতে হবে। দীর্ঘ ৩১ বছর পর ওঁর সঙ্গে আমার কোর্টে দেখা হবে।"

 


নিজের বক্তব্যে রীতা সাফ জানিয়েছেন, তিনি হাতজোড় করে অনুরোধ করছেন যেন তাঁদের আর বিরক্ত না করা হয়। তিনি বলেন, "যদি ভালবাসতে না পারেন, তবে অন্তত আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন। দয়া করে আমাদের এভাবে আর হেনস্তা করবেন না।" রীতা নিজেও এই মামলার পালটা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ওই সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন।