থ্রিলারপ্রেমীদের জন্য দারুণ খবর। ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসতে চলেছে ‘কাটাকুটি ২’। রাজা চন্দের পরিচালনায় 'কাটাকুটি' দর্শকের মনে বেশ জায়গা করে নিয়েছিল। এবার আসছে সেই ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজন। এই মুহূর্তে জোরকদমে চলছে শুটিং। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সিরিজের প্রথম ঝলক। 

একেবারে মনস্তাত্ত্বিক ঘরানার থ্রিলার ‘কাটাকুটি ২’। এই সিরিজে দেখা যাবে, কীভাবে মানসিক আঘাত একজন মানুষকে ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর করে তোলে। উঠে আসবে বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং একজন বাবার নিজের সম্মান ফেরানোর লড়াই। 

সমীর মন্ডল নামের এক ব্যক্তির জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় গল্প। সাত বছর আগে ছাত্রী নন্দিনী গুপ্ত খুনের অভিযোগে তাকে জেলে যেতে হয়। প্রমাণের অভাবে আদালত তাকে মুক্তি দিলেও সমাজ তাকে এখনও খুনি হিসেবেই দেখে। সমীরের ব্যক্তিগত জীবনও তছনছ হয়ে যায়। তার স্ত্রী সুষমা এখন সমীরেরই বন্ধু অশোকের স্ত্রী। আর মেয়ে তুলি অশোককেই নিজের বাবা বলে জানে।

সমীরকে নির্দোষ বিশ্বাস করেন দুই সাংবাদিক রাকা ও টিনটিন। তারা নিজেরাই তদন্তে নামেন। রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে তারা সুন্দরবনের হাজিডিঙ্গা গ্রামে এক কিশোরী বিন্তির পুরনো খুনের খবর পান। বিন্তি আর নন্দিনীর খুনের মধ্যে বেশ কিছু মিল পাওয়া যায়। দু’জনেই ছিল বাঁ-হাতি শিল্পী, আর দু’জনেই পায়ে রুপোর মল পরত।

এই সূত্র ধরেই সামনে আসে ধ্রুবজ্যোতি মিত্র, যার ডাকনাম রঙিন। পেশায় সে একজন আর্ট টিচার। ছোটবেলায় বুল্টি নামের এক মহিলার কাছে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ধ্রুব। সেই পুরনো কষ্ট থেকেই সে তরুণী শিল্পীদের খুন করতে শুরু করে।

গল্পের শেষ ভাগে ধ্রুব সমীরের মেয়ে তুলিকেই নিজের পরবর্তী শিকার বানায়। ঠিক সময়েই সেখানে পৌঁছে যায় সমীর। নিজের মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে সে চরম সিদ্ধান্ত নেয়। ধ্রুবকে সঙ্গে নিয়ে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেয় সমীর। মৃত্যুর আগে মেয়ের চোখে সমীর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে। তবে সেই বুল্টি এখনও অন্য এক শিশুর উপর অত্যাচার করছে, গল্পের শেষে আবার এক ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত দেওয়া হয়। বোঝানো হয়, এই অন্ধকার চক্র এখনও শেষ হয়নি।

সবমিলিয়ে, রহস্য, আবেগ আর ভয়- এই তিনের মিশেলে ‘কাটাকুটি ২’ যে অন্যতম চর্চিত সিরিজ হতে চলেছে, তা বলাই যায়। পরিচালক আগেই পুরনো সিজনের মুখ বদলের আভাস দিয়েছিলেন। এই সিরিজে অভিনয় করছেন, সুব্রত দত্ত, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়, শাওন চক্রবর্তী, শুভ্রজিত দত্ত, শ্রীজা ভট্টাচার্য, পূষান দাশগুপ্ত, রানা বসু ঠাকুর, জয়তী চক্রবর্তী, আলকারিয়া হাশমী ও অলকনন্দা রায়। সিরিজের গল্প লিখেছেন রম্বাস, আর চিত্রনাট্য করেছেন রুদ্রদীপ চন্দ। ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন অনির।