সংবাদ সংস্থা মুম্বই: একদিকে ভোটের ময়দান, অন্যদিকে হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রে কঙ্গনা রানাউতেরমানালির বাড়ির ৯০,৩৮৪ টাকার বিদ্যুৎ বিল। অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদের দাবির ভাষা ছিল সরাসরি, অভিযোগ ছিল বিস্ফোরক—“আমি ওই বাড়িতে থাকি না, তবু ১ লাখ টাকার বিল এসেছে! এই সরকার একটা নেকড়ের পাল!”

 

কঙ্গনার করা এহেন মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আসে পাল্টা জবাব। গুজরাট সফরে থাকা হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু কঙ্গনার কথায় জল ঢেলে দেন - “ওঁর কথায় আমি কোনও গুরুত্ব-ই দিই  না। উনি নিয়মিত এরকম মন্তব্য করেন।”

 

হিমাচল প্রদেশ স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ কুমার স্পষ্ট করে দেন পুরো হিসাব। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ২২ মার্চ ২০২৫-এর বিলটি আসলে কঙ্গনার বাড়ির আগের বকেয়া ৩২,২৮৭ টাকা সহ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির বিদ্যুৎ ব্যবহার ধরেই তৈরি।বাড়ির কানেকটেড লোড ৯৪.৮২ কিলোওয়াট, যা গড় গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ৮২,০৬১ টাকা বিল তিনি মেটান দেরিতে—১৬ জানুয়ারি ২০২৫-এ। এছাড়া, সদ্য বিতর্কিত জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারির বিল মেটানো হয়েছে ২৮ মার্চ ২০২৫-এ। তাঁর আরও দাবি, কঙ্গনার অ্যাকাউন্টে ফেব্রুয়ারিতে ৭০০ টাকা সরকারি ভর্তুকি হিসাবেও দেওয়া হয়েছে।

 

মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারের দায়িত্বে থাকা নরেশ চৌহান আরও কড়া ভাষায় বলেন, “কঙ্গনার মন্তব্য আসলে নিজের সাংসদ হিসাবে ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল। তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন, অতিরঞ্জিত, আলোচনার  তোলার চেষ্টা।”

 

এই বিতর্ক চলাকালীনই, মান্ডির জরোল বিধানসভায় জনসভায় দাঁড়িয়ে কঙ্গনা ফের কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। পুরোনো কংগ্রেস সরকারের কেলেঙ্কারির খতিয়ান তুলে এনে জানালেন,  ২জি থেকে শুরু করে কয়লা, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির কথা। পাশাপাশি মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “চাঁদের গায়েও দাগ থাকে, কিন্তু ওঁর (মোদী) গায়ে এক ফোঁটাও দাগ নেই।”

 

তবে বিদ্যুৎ বিতর্কে এখনও কঙ্গনার পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক জবাব আসেনি।