জুনিয়র এনটিআর এখন নিজের ফিল্মি কেরিয়ারকে নতুনভাবে সাজাচ্ছেন। এইমুহূর্তে তিনি প্রশান্ত নীলের ‘ড্রাগন’ প্রজেক্টে পুরো মনোযোগ দিচ্ছেন, এবং সেই কারণেই ভারতীয় সিনেমার জনক দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিক থেকে আলোচনা করেই সরে এসেছেন। জানিয়ে রাখা ভাল, এই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন এস এস রাজামৌলি! 

একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনটিআরের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করেছে:

বর্তমানে তিনি বাস্তব জীবনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান না, বিশেষ করে এমন একজন কিংবদন্তির।
ফালকের বায়োপিকটি পরিচালনা করবেন রাজামৌলির ছেলে। স্বয়ং রাজামৌলি নয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমির খানের ফালকে বায়োপিক ইতিমধ্যেই রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় কাজ  চলেছে। একই প্রজেক্টে নাম লেখানো কোনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হবে না।

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল যে, আমির খান হিরানিকে বায়োপিকটি ফের লিখতে বলেছেন। তবে আমির স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে প্রজেক্টটি সময়সূচী অনুযায়ী চলছে। এদিকে, রাজামৌলি এনটিআরের সরে যাওয়ার পরও বায়োপিকটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ফালকের নাতি চন্দ্রশেখর শ্রীকৃষ্ণ পুসালকর কিছু আপত্তি তুললেও রাজামৌলি নতুন অভিনেতা খুঁজছেন। গুঞ্জন, প্রভাসকে চরিত্রের জন্য ভাবা হয়েছে কিন্তু সূত্রের খবর, এটি নাকি সম্পূর্ণ ভুল।

ফলে, জুনিয়র এনটিআরের এই পদক্ষেপ দর্শকদের দেখিয়েছে যে তিনি নিজের মূল শক্তি, তেলেগু সিনেমা ও ‘ড্রাগন’-এ ফোকাস করতেই প্রস্তুত। ফালকের বায়োপিক থেকে সরে আসা কোনও ব্যর্থতা নয়, বরং এক সচেতন কেরিয়ার-সিদ্ধান্ত, যা দীর্ঘমেয়াদে তার জন্য ফলপ্রসূ হবে।

প্রসঙ্গত, রাজকুমার হিরানি মন দিয়েছেন তাঁর পরের বড় প্রজেক্টে দাদাসাহেব ফালকের জীবননির্ভর বায়োপিক, যেখানে মুখ্যভূমিকায় আমির খান। এই ছবির শুটিং শুরু হবে ২০২৬ সালের গোড়ায়, আর আমির ইতিমধ্যেই চরিত্রের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। জানা গেছে, তিনি নিজের লুক ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে ওয়ার্কশপ করবেন ডিসেম্বর থেকেই। এটাই হতে চলেছে আমিরের প্রথমবার কোনও বাস্তব চরিত্রে অভিনয়।