জনপ্রিয় তামিল অভিনেতা অরুণ বিজয়ের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছড়াল আতঙ্ক। এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পাঠানো ই-মেল মারফত তাঁর বাসভবনে বোমা পোঁতা হয়েছে বলে হুমকি আসে। ঘটনার খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ নড়েচড়ে বসে চেন্নাই পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিজিপি অফিসে প্রথমে ওই ই-মেলটি আসে। সেখানে দাবি করা হয়, এক ব্যক্তি অরুণ বিজয়ের এক্কাটুথাঙ্গল এলাকায় অবস্থিত চেন্নাইয়ের বাড়িতে বোমা পুঁতে রেখেছে। হুমকি পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বোমা শনাক্তকরণ বাহিনী এবং স্থানীয় থানার পুলিশ দল। বাড়ি ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “পুরো বাড়ি ও আশপাশের এলাকা আমরা ভালভাবে তল্লাশি করেছি। এখনও পর্যন্ত কোনও বিস্ফোরক মেলেনি। তবে হুমকির ই-মেলটি কোথা থেকে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বর্তমানে পুলিশ ই-মেলটির উৎস এব প্রেরককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। তদন্তকারীরা সাইবার শাখার সহযোগিতায় ই-মেলটির আইপি ট্র্যাক করার কাজ শুরু করেছে।
অরুণ বিজয় তামিল চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ। ১৯৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর জন্ম তাঁর। তিনি বর্ষীয়ান অভিনেতা বিজয়কুমারের পুত্র। ১৯৯৫ সালে ‘মুরাই মাপিল্লাই’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। দীর্ঘ সময়ের সংগ্রামের পর ইন্নাই আরিন্দাল (২০১৫), চেক্কা চিভন্থা ভানম (২০১৮) ও থাদাম (২০১৯)-এর মতো ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পান।
তাঁর পরবর্তী ছবি ‘রেত্তা থালা’, পরিচালনায় ক্রিস থিরুকুমারন, প্রযোজনায় ববি বালাচন্দ্রন। ছবিতে অরুণের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সিদ্ধি ইদানানি, তনয়া রবিশঙ্কর, যোগী স্যামি, জন বিজয়, হরিশ পেরাদি ও বালাজি মুরুগাদস। ছবির মুক্তির তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি।
দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে সম্প্রতি তারকাদের বাড়িতে বোমা হুমকির ঘটনা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। একের পর এক জনপ্রিয় অভিনেতার বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ই-মেল বা ফোনের মাধ্যমে বোমা পোঁতার হুমকি দিচ্ছে, যা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অনুরাগী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সম্প্রতি তামিল অভিনেতা অরুণ বিজয়ের চেন্নাইয়ের বাড়িতে এমনই হুমকি আসে, যার পর পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড তল্লাশি চালিয়ে কোনও বিস্ফোরক না পেলেও তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগেও বিজয়, ধনুষ, তৃষা কৃষ্ণন-সহ একাধিক তারকা বাড়িতে এমন ভুয়ো হুমকি এসেছে। পুলিশের ধারণা, খ্যাতনামা তারকাদের লক্ষ্য করে প্রচার বা মজা করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের কাণ্ড ঘটাচ্ছে কিছু দুষ্টচক্র। তবে এই ঘটনাগুলি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করার প্রয়োজনীয়তা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
