সংবাদ সংস্থা মুম্বই: গত ৭ মার্চ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল ইব্রাহিম আলি খান-খুশি কাপুর অভিনীত প্রথম ছবি ‘নাদানিয়াঁ’। যদিও সে ছবি খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেনি দর্শকদের মনে। তবে ছবির প্রচারের সময় একটি ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি ইব্রাহিম— তাঁর বাবা সইফ আলি খানের উপর হওয়া সেই ভয়াবহ ছুরি-হামলা। কয়েক মাস আগেই মুম্বইয়ের বান্দ্রার নিজস্ব বাড়িতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সইফ। এবার একটি সাক্ষাৎকারে সেই রাতের আতঙ্ক নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন ইব্রাহিম।
গত ১৬ জানুয়ারি, সইফ আলি খান যখন নিজের বাড়িতে একা ছিলেন, আচমকাই এক ব্যক্তি তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। পিঠের কাছে ছুরির ফলা ঢুকে যায়, তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি সুস্থ, বাড়িতে পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন। হামলাকারীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ভয়াল রাত প্রসঙ্গে ইব্রাহিম বলেন, “আমি তখন শুটিং করছিলাম। ভোর ৫টা পর আমাকে জানানো হয় কী ঘটেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়ি। সেই রাত আমি ঘুমোতে পারিনি।”
হাসপাতালে পৌঁছে ইব্রাহিম দেখেন, তাঁর বাবা আইসিইউ-র বাইরে এসেছেন। “তিনি চোখ খুলেই সারা দিদিকে কিছু বললেন, তারপর আমাকে খুঁজলেন। আমি বললাম, ‘আমি এখানে, বাবা।’ উনি তখন বললেন, ‘তুই থাকলে ওই লোকটাকে পিটিয়ে দিতিস।’ ওই কথা শুনে নিজেকে আর সামলাতে পারিনি। পুরোপুরি ভেঙে পড়ি। আমি কাঁদতে শুরু করি। আমি চেয়েছিলাম ওই দুর্ঘটনার সময় বাবার পাশে থাকতে । যখন জানতে পারলাম বাবাকে ছুরি মারা হয়েছে, তখন আমার মাথায় শুধু খারাপ চিন্তা ঘুরছিল... খুব, খুব ভয়ঙ্কর অনুভূতি ছিল!”
সোশ্যাল মিডিয়ায় রটেছিল, ইব্রাহিম-ই নাকি ছোট ভাই তৈমুরকে নিয়ে সইফকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। তবে এই বিষয়েও নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন তিনি। “না, আমি গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাইনি। ওসব গুজব। আমার বাবা নিজে হাঁটতে হাঁটতেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। তাঁর পিঠে তখনও ছুরি গাঁথা ছিল। সেই অবস্থাতেও উনি রিসেপশনে গিয়ে শুধু বলেন, ‘আমি আহত, আমাকে সাহায্য করুন।’ ভাবাই যায় না, উনি কতটা সাহসী।”
এই হামলার ঘটনা যে তাঁদের বাবা-ছেলের সম্পর্কেও প্রভাব ফেলেছে, তা অকপটেই স্বীকার করেছেন ইব্রাহিম। তাঁর কথায়, “বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক এখন আরও পোক্ত হয়েছে। ঘন হয়েছে। যখন পরিবারের কেউ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে, তখন আপনি তাঁকে আর অবহেলা করতে পারেন না। আপনি আরও বেশি উপস্থিত থাকেন, সেই মানুষটির সঙ্গে সম্পর্কটাকে আপনি আগের থেকেও বেশি গুরুত্ব দেন।”
