গত ২৪ নভেম্বর শেষ হল বলিউডের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের। না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ধর্মেন্দ্র। বিগত কিছুদিন যাবৎ গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর এতদিন প্রকাশ্যে কিচ্ছু বলেননি 'ড্রিম গার্ল'। অবশেষে সেই নীরবতা ভাঙলেন। ধর্মেন্দ্রর স্মৃতি হাতড়ে এদিন আবেগঘন একটি পোস্ট লেখেন হেমা মালিনী। শেয়ার করেন একগুচ্ছ ছবি। 

ধর্মেন্দ্রর অল্প বয়সের একটি ছবি সহ তাঁদের দুজনের সাম্প্রতিক একটি ছবি এক্স অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে পোস্ট করে লেখেন, 'ধরমজি, আমার কাছে উনি অনেক কিছু ছিলেন। একজন ভাল স্বামী, আমাদের দুই মেয়ে এষা এবং অহনার ভাল বাবা, বন্ধু, ফিলোসফার, গাইড, কবি, আমার সমস্ত কিছুর গো-টু পার্সন,... আসলে উনি আমার সব কিছু ছিলেন। সমস্ত ভাল, কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিলেন। উনি ওঁর গোটা পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন নিজের মতো করে। সবাইকে সমান ভাবে আগলে রাখতেন।' 
 

এদিন হেমা মালিনী আরও লেখেন, 'পাবলিক পার্সোনালিটি হিসেবেও ওঁর গুণ, বিনয় নজরকাড়া ছিল। এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও সমস্ত তারকাদের ভিড়ে ওঁর গুণই ওঁকে অনন্য করে তুলেছিল। ওঁর খ্যাতি, কাজ যা যা এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে পেয়েছে সব থেকে যাবে। আমার ব্যক্তিগত যে ক্ষতি হল সেটা অবর্ণনীয়। যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেটা আমার বাকি জীবন থেকে যাবে। এত বছর একসঙ্গে পথ চলার পর, আমার কাছে থেকে গেল ওঁর স্মৃতি, সেটাকে পাথেয় করেই চলব।' 

এছাড়াও হেমা মালিনী এদিন আরও বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন তাঁদের দুজনের। ১৯৮০ সালে ধর্ম বদলে ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তাঁদের দুই কন্যা রয়েছে, এষা দেওল এবং অহনা দেওল।

কিছুদিন আগে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। সেই সময় সলমন খান থেকে শাহরুখ খান, আরিয়ান সহ অনেকেই হাসপাতালে আসেন অভিনেতাকে দেখতে। সানি দেওলকেও গাড়িতে গম্ভীর মুখে ঢুকতে দেখা যায় হাসপাতালে। অভিনেতাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেই সময় রটে গিয়েছিল তাঁর মৃত্যুর খবর। তবে সেটাকে ভুল প্রমাণ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। তার দুই সপ্তাহের মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বলিউডের 'হিম্যান' ছিলেন তিনি। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন পাঞ্জাবের মানসপুত্র। উপহার দিয়েছেন 'শোলে' (১৯৭৫), 'চুপকে চুপকে' (১৯৭৫), 'ইঁয়াদো কি বারাত' (১৯৭৩), ইত্যাদির মতো ছবি। কাজ করেছেন 'রকি অর রানি কী প্রেম কাহানি', 'ইক্কিস' এর মতো সাম্প্রতিক ছবিতেও। যদিও 'ইক্কিস' এখনও মুক্তি পায়নি। আগামী ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাবে সেই ছবি।