নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার সকালে ফের দুঃসংবাদ বিনোদন জগতে। প্রয়াত বিশিষ্ট পরিচালক পার্থ ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বাঙালি পরিচালক শুধু টলিউডেই জনপ্রিয়তা লাভ করেননি। বলিউডেও বক্স অফিস ছাপিয়ে গিয়েছিল তাঁর পরিচালিত ছবি। তিনি বাংলা সিনেমার পাশাপাশি হিন্দি ছবিও পরিচালনা করেছিলেতাঁর ছবি 'তিসরা কৌন'-এ মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। 

 

পার্থ ঘোষের মৃত্যুর খবর শোনার পরেই মন ভাল নেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। ‘পার্থদা’র নানান স্মৃতি বার বার ফিরে আসছে ঋতুপর্ণার মনে। আজকাল ডট ইন-এর সঙ্গে স্মৃতির পাতা উল্টে সেসব কথা-ই ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। “দারুণ মানুষ ছিলেন পার্থদা। খুব মিষ্টভাষী ছিলেন, কোনওদিন দেখিনি কারও সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলতে। সহকর্মীদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করতেন সবসময়।” 

 

 সামান্য থেমে ঋতুপর্ণা বলে ওঠেন, “চেন্নাইয়ে একটি বাংলা ছবির শুট করছিলাম। সেই সময়ে সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দালাল ছবির শুটিং সারছিলেন পার্থদা। ওখানেই আমাকে উনি প্রথম দেখেন। সেখান থেকে আলাপ। আমি তখন সবে কেরিয়ার শুরু করেছি। এভিএম স্টুডিওতে শুট চলছিল আমার ছবির...সেখানেই পার্থদা এসেছিলেন। মৃদু স্বরে আলাপ করেছিলেন। এরপর কাজ সেরে কলকাতায় ফিরে এলাম। উনি খবর পাঠালেন, আমার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক ভবিষ্যতে তাই মুম্বই এলে যেন দেখা করি। এরকম করেই পার্থদার ছবি 'তিসরা কৌন'-এ সুযোগ পাওয়া। বোম্বে-তে বলতে গেলে, উনি-ই আমাকে ইন্ট্রোডিউস করিয়েছিলেন। অনেকে সঙ্গে আমার পরিচয় করেছিলেন...চাঙ্কি পাণ্ডে, জাভেদ জাফরি, মিঠুনদার মতো অভিনেতারা ছিলেন।    খুব প্রশংসা করতেন আমার কাজের।  খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল ওই ছবিতে কাজ করার। সেই শুটিং চলাকালীন পার্থদার থেকে যে উষ্ণ ব্যবহার পেয়েছি তা ভোলার নয়...তাঁর মতো মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম দেখা যায়।”

 

 

“এরপর বেশ কিছু বছরের বিরতি। মিঠুনদা-কে নিয়ে একটি বাংলা ছবি করলেন। নানা পটকরকে নিয়ে ‘গুলাম এ মুস্তাফা’ বানানোর পর সে  ছবির বাংলা রিমেক করলেন, সে ছবিতে ফের আমি নায়িকার চরিত্রে। মনে পড়ছে  সিঁদুরখেলা ছবিতেও কাজ করেছিলাম। আমি তো ছিলাম-ই, প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিতের মতো বড় বড় নায়কেরাও সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। খুব জনপ্রিয় হয়েছিল সে ছবি....শেষ কয়েক বছরে পার্থদার সঙ্গে নিয়মিত যে যোগাযোগ ছিল তা নয়, কিন্তু ছিল যোগাযোগ। মাঝেমধ্যেই কথা হত, ছবি নিয়ে আলোচনা হত। তাই পার্থদার এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে মন একদমই ভাল নেই...এই আর কী...”