বলিউডের খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান সম্প্রতি অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে ঘিরে ওঠা সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। ফারাহর শোয়ে রাজের উপস্থিতি নিয়ে একাংশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও, তিনি সরাসরি রাজের পাশে দাঁড়ান।

ফারাহ তাঁর নতুন ভ্লগের শুটিংয়ের জন্য শিল্পা এবং রাজের মুম্বইয়ের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন। সেখানে শিল্পা এবং ফারাহ মিলে স্বাস্থ্যকর মুগ ডাল পায়াসম রান্না করেন। সেই সময় রাজ কুন্দ্রাও ভিডিওয় অংশ নেন এবং নিজের নতুন পঞ্জাবি ছবি ‘মেহর’  নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়, পায় লক্ষাধিক ভিউ এবং লাইক। কিন্তু এর মাঝেই এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ফারাহর সমালোচনা করে অভিযোগ তোলেন যে, তিনি তাঁর শোয়ে এক ‘বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব’কে তুলে ধরেছেন।

ভিডিওটির কমেন্ট সেকশনে এক নেটিজেন লিখেছেন, 'নেপাল থেকে নমস্কার জানাচ্ছি। শুধু একটা অনুরোধ—আপনার শো জনপ্রিয়তার মূল কারণ এর সারল্য, আন্তরিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা। দয়া করে এমন বিতর্কিত ব্যক্তিত্বদের এই মঞ্চ ব্যবহার করার সুযোগ দেবেন না, যাঁরা এর যোগ্যই নন।'
তিনি আরও লেখেন, ‘মিস্টার কুন্দ্রা শিল্পা শেট্টির নাম এবং পরিচিতিকে ভুল কারণে ব্যবহার করে একটি বিতর্কিত ইমেজ তৈরি করেছেন! নারীদের সব স্তরে সম্মান দেওয়া উচিত, আর মিস্টার কুন্দ্রার কাজ ছিল একেবারে তার উল্টো। তাই দয়া করে  এমন ব্যক্তিত্বদেরই সামনে আনুন, যাঁদের কাজের জন্য সমাজে সম্মান দেওয়া হয় এবং যাদের দেখে সমস্ত নারী গর্ববোধ করতে পারেন।’

ফারাহ খান সমালোচনার জবাবে লিখেছেন, “আমি যা পড়ি, তা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত আমি তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরই নিই। আপনারা যা পড়েন, সবকিছু বিশ্বাস করা উচিত নয়… অনেক কিছুই বাড়িয়ে লেখা হয়।”

মুম্বই পুলিশ বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি এবং তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে একাধিক কোটি টাকার প্রতারণা মামলায় লুকআউট সার্কুলার জারি করেছে। অভিযোগ, তারকা-দম্পতি তাঁদের এখন বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেড-এর নামে বিনিয়োগের চুক্তি দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আর্থিক তছরুপ তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এখন শিল্পা এবং রাজের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে। সংস্থার অডিটরকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

ব্যবসায়ী দীপক কোঠারির অভিযোগ, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই দম্পতি তাঁদের ব্যবসা বাড়ানোর নাম করে তাঁর কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা নেন। কিন্তু সেই টাকা আসলে ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করেন। আরও অভিযোগ, তাঁরা টাকা ঋণ হিসেবে নিলেও পরে সেটিকে বিনিয়োগ হিসাবে দেখানো হয়, যাতে ট্যাক্স বাঁচানো যায়।

কোঠারির দাবি, তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১২% বার্ষিক সুদ-সহ টাকা ফেরত দেওয়া হবে এবং ২০১৬ সালের এপ্রিলে শিল্পা ব্যক্তিগতভাবে লিখিত গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই শেট্টি সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন।